ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

নবজাতক হত্যায় মায়ের যাবজ্জীবন

ফেনী সংবাদদাতা  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫০, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২২   আপডেট: ১১:৫৪, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২২
নবজাতক হত্যায় মায়ের যাবজ্জীবন

নবজাতক হত্যা মামলায় মায়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন ফেনী অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ মো. কায়সার মোশাররফ ইউসুফের আদালত। 

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) এ রায় প্রদান করা হয়। একইসঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করেন আদালত।

রায় প্রদানকালে দণ্ডিত মা আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। সাজাপ্রাপ্ত এই মা কুমিল্লার লাকসাম থানার জনৈক হানিফের স্ত্রী। তিনি ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকতেন। এসময়ে তিনি এই নবজাতককে হত্যা করেন। 

রাষ্ট্রপক্ষের মামলা পরিচালনা করেন এপিপি দ্বিজেন্দ্র কুমার কংশ বণিক। গত ২৭ জানুয়ারি আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়েছে। গত ১৯ জানুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের পর্ব সমাপ্ত করা হয়। এ মামলার ১৬ জনের মধ্যে ৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। ২০১৯ সালে ২৬ নভেম্বর সর্বশেষ সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। 

আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, দণ্ডিত মা জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন। যেদিন আত্মসমর্পণ করবেন বা পুলিশ গ্রেপ্তার করবে, সেদিন থেকেই তার সাজা কার্যকর হবে। 

তিনি জানান, ধর্মপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি কক্ষে বসবাস করতেন এই মা। স্বামীর অনুপস্থিতিতে অবৈধ মেলামেশার ফলে নবজাতকটি ভূমিষ্ট হয়েছিলো। লোকলজ্জার ভয়ে কারো সহযোগিতায় নবজাতককে হত্যা করে ফেলে দেয়। ২০০৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাত নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করে। পরে ফেনী মডেল থানা পুলিশের সন্দেহ হলে তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে। তিনি জিজ্ঞাসাবাদে সব দায় স্বীকার করেন।

এ ঘটনায় ২০০৮ সালে ৩ মার্চ ফেনী মডেল থানায় এসআই মো. জাহাঙ্গীর উদ্দীন বাদী হয়ে তাকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন এসআই রাশেদ খান চৌধুরী ওই বছরের ৩১ মে এই নারীকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০০৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর  আদালত চার্জ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন। ২০০৯ সালে ২০ আগস্ট প্রথম সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

সৌরভ পাটোয়ারী/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়