ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ভোটের আগেই ৯৪ শতাংশ লিখিত সমর্থন!

পিরোজপুর সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৪৭, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২   আপডেট: ১৭:৪৯, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
ভোটের আগেই ৯৪ শতাংশ লিখিত সমর্থন!

মহিউদ্দিন মহারাজ

পিরোজপুর জেলার ‘জেলা পরিষদ নির্বাচনে’ মোট ভোটার রয়েছেন ৭৪৭ জন। সাতটি উপজেলা নিয়ে গঠিত জেলা পরিষদের ৭০৪ জন ভোটারই বর্তমান প্রশাসক মহিউদ্দিন মহারাজের পক্ষে স্বাক্ষর দিয়ে লিখিতভাবে সমর্থন জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে এ সংক্রান্ত ‘সমর্থনের চিঠি’ ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। 

নির্বাচনী বিধান অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট জেলার উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে থাকেন। তাদের প্রত্যক্ষ ভোটেই নির্বাচিত হয় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।

পিরোজপুর-১ সদর আসনের নাজিরপুর উপজেলা পরিষদে ৯টি ইউনিয়নে জনপ্রতিনিধি আছে ১২০ জন। এই উপজেলার সব ভোটার তার পক্ষে স্বাক্ষর দিয়ে সমর্থন জানিয়েছেন। নেছারাবাদ উপজেলা পরিষদে ইউনিয়ন ১০টি ও ১টি পৌরসভা। যেখানে মোট ভোটার সংখ্যা ১৪৬। যার মধ্যে মহিউদ্দিনের পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন ১৪০ জন।

পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদে ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১০৭ জন ভোটারের মধ্যে স্বাক্ষর দিয়ে সমর্থন করেছেন ৭৯ জন। পিরোজপুর-২ আসন ভাণ্ডারিয়া সদর উপজেলায় ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৯২ জন ভোটারের সবাই সমর্থন করেছেন তাকে। কাউখালী এবং ইন্দুরকানী উপজেলায় ৫টি করে ইউনিয়নের ৬৮ জন করে ভোটারের সবাই স্বাক্ষর দিয়ে তরুণ মহিউদ্দিনকে সমর্থন জানিয়েছেন।

এ ছাড়া পিরোজপুর-৩ আসন, মঠবাড়িয়া উপজেলায় ১১টি ইউনিয়নের ১৪৬ জন ভোটারের মধ্যে ১৩৭ জনই স্বাক্ষর দিয়ে সমর্থন জানিয়েছেন। মঠবাড়িয়া পৌরসভা থাকলেও সর্বশেষ সংশোধনীয় আইন অনুযায়ী সরকার কর্তৃক পৌর পরিষদ বিলুপ্ত হওয়ায় এখানকার ভোটার সংখ্যা অবশ্য বিবেচনায় আনা হয়নি।

লিখিত সমর্থনের চিঠি অনুযায়ী, পিরোজপুর সদর উপজেলার ২৮ জন, নাজিরপুরের ৬ জন ও মঠবাড়িয়া উপজেলার ৯ জন ছাড়া বাকি ৯৪.২৫ শতাংশ ভোটারই মহিউদ্দিন মহারাজের পক্ষে অগ্রিম সমর্থন জানিয়েছেন।

লিখিত সমর্থনের বিষয়ে নাজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান অমূল রঞ্জন হালদার জানান, মহিউদ্দিন জনবান্ধব। তার কাছে যে কেউ সমস্যা নিয়ে গেলে সমাধান করে দেন। তাই সমর্থন দিতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি।

কাউখালী উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে যে কোনও বরাদ্দ বা উন্নয়নমূলক কাজ করা সম্ভব এ বিষয়টিই তারা মহিউদ্দিন চেয়ারম্যান হওয়ার আগে জানতেন না।

পিরোজপুর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান এসএম বায়েজীদ হোসেন বলেন, জনবান্ধব নেতা হিসেবেই অগ্রিম তাকে লিখিতভাবে সমর্থন দিয়েছি।

মঠবাড়িয়া উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান রাহাত বলেন, তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার পর সব জনপ্রতিনিধিদের বিভক্তি দূর করে একটি ছাতার নিচে আনতে সক্ষম হয়েছেন। 

অগ্রিম সমর্থন দেওয়ার বিষয়ে মহিউদ্দিন মহারাজ বলেন, ভোটারদের (জনপ্রতিনিধি) কাছ থেকে এমন ভালোবাসা ও স্বীকৃতি পাওয়া নিশ্চয়ই সৌভাগ্যের। দায়িত্বে থাকাকালীন তিনি সবসময়ই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করেছেন বলে জানান।

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী জেলা চেয়ারম্যান হিসেবে পিরোজপুরের সব ইউনিয়নের গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করেছেন। যেহেতু তার সময়ে বৈশ্বিক মহামারি করোনা হানা দিয়েছিল তাই তিনি ব্যক্তি পর্যায়ে ও সরকারিভাবে চেষ্টা করেছেন যেন পিরোজপুরের কোনও নাগরিক খাওয়ার কষ্ট না পায়। আগামী নির্বাচনে জেলা চেয়ারম্যান হতে পারলে তিনি পিরোজপুরকে দেশের মধ্যে মডেল জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবেন বলেও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রথম জেলা পরিষদের ভোট হয়। সেখানে প্রার্থী হিসেবে স্বতন্ত্রভাবে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মহিউদ্দিন মহারাজ। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ঢাকা/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়