ঢাকা     সোমবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৭ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৬, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২   আপডেট: ১৩:৩২, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় প্রশাসন

কবি ও সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ (২৭ সেপ্টেম্বর)। এ উপলক্ষে লেখকের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন কুড়িগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ।

২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান এই কবি।

আরো পড়ুন:

দিনটি উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে লেখক সৈয়দ শামসুল হকের সমাধিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষে প্রথমে ফুল দেওয়া হয়। এরপর পুলিশসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষজন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান লেখককে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মিনহাজুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যাক্ষ মো. মির্জা নাসির উদ্দীন, একুশে পদক প্রাপ্ত  অ্যাভোকেট আব্রাহাম লিংকন, কবি পুত্র দ্বিতীয় সৈয়দ হক, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক শ্যামল ভৌমিক প্রমুখ।

সৈয়দ শামসুল হকের কবরে সমাধি সৌধসহ কমপ্লেক্স নির্মাণের দাবি জানান তার পুত্র দ্বিতীয় সৈয়দ হক।

একুশে পদকপ্রাপ্ত অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন বলেন, ‘সব্যসাচী এই লেখকের সমাধি সৌধ ও কমপ্লেক্স নির্মাণের নকশা তৈরি হয়েছে কিন্তু কেন কাজ হচ্ছে না জানা নেই। আমরা চাই দ্রুত এ কাজ সম্পন্ন হোক। এতে সৈয়দ শামসুল হকের সাহিত্য নিয়ে গবেষনা হবে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এখানে আসবে এবং কবিকে জানার সুযোগ পারে।’

বাংলা সাহিত্যের সব্যসাচী খ্যাত সৈয়দ শামসুল হক ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম শহরের থানা পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন ও মা হালিমা খাতুন। আট ভাই-বোনের মধ্যে সৈয়দ শামসুল হক ছিলেন সবার বড়।

বাংলা সাহিত্যের সব শাখায় সমানভাবে পদচারণার জন্য সৈয়দ শামসুল হককে ‘সব্যসাচী লেখক’ বলা হয়। তিনি ১৯৬৪ সালে মাত্র ২৯ বছর বয়সে বাংলা একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন। বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে ১৯৮৪ সালে একুশে পদক এবং ২০০০ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করে বাংলাদেশ সরকার। 
১৯৫০-এর দশকে প্রকাশিত হয় তার প্রথম উপন্যাস ‘দেয়ালের দেশ।’ এছাড়াও তার লেখা অন্যান্য উপন্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে  ‘খেলারাম খেলে যা’, ‘নিষিদ্ধ লোবান’, ‘সীমানা ছাড়িয়ে’, ‘নীল দংশন’, ‘বারো দিনের জীবন’, ‘তুমি সেই তরবারী’, ‘কয়েকটি মানুষের সোনালী যৌবন’ ও ‘নির্বাসিতা।’

সৈয়দ শামসুল হকের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘একদা এক রাজ্যে’, ‘বৈশাখে রচিত পঙক্তিমালা’, ‘পরানের গহীন ভিতর’, ‘অপর পুরুষ’, ‘অগ্নি ও জলের কবিতা’। ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ ও ‘নুরুলদীনের সারা জীবন’ সৈয়দ শামসুল হকের বিখ্যাত কাব্যনাট্য।

বাদশাহ সৈকত/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়