ঢাকা     রোববার   ০৫ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২২ ১৪৩১

রসিক নির্বাচন ২৭ ডিসেম্বর, প্রচারে ব্যস্ত সম্ভাব্য প্রার্থীরা

রংপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২০, ৭ নভেম্বর ২০২২   আপডেট: ১৫:২৯, ৭ নভেম্বর ২০২২
রসিক নির্বাচন ২৭ ডিসেম্বর, প্রচারে ব্যস্ত সম্ভাব্য প্রার্থীরা

রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৭ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এই সিটি নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।

ঘোষিত তফসিলে অনুযায়ী, আগামী ২৯ নভেম্বর রসিক নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ তারিখ। ১ ডিসেম্বর প্রার্থী যাচাই-বাছাই। প্রার্থীতা প্রত্যাহার ৮ ডিসেম্বর ও ভোট গ্রহণ ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই সম্ভাব্য প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের নির্বাচনী প্রচারণা আরো জোরেশোরে শুরু করেছেন। প্রার্থীরা সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময়সহ খোশগল্পে মেতে উঠেছেন। পুরো নগরজুড়ে এখন আলোচিত বিষয়ে রূপান্তরিত হয়েছে এই রসিক নির্বাচন।

আরো পড়ুন: তফসিলের আগেই রসিকে নির্বাচনী সাজ-সাজ রব!

তফসিল ঘোষণার আগের একমাস ধরেই নির্বাচন নিয়ে সাজ-সাজ রব চলছে রংপুর মহানগরী জুড়ে। বিভিন্ন সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে পুরো নগরীর পথঘাট। নিজেকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে উপস্থাপন করে দলীয় মনোনয়ন পেতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগের হাফ ডজন নেতা। 

এসব নেতারা দলীয় মনোনয়ন বোর্ডের দৃষ্টি আকর্ষণে নিচ্ছেন নানা উদ্যোগ। বসে নেই বিএনপির নেতারাও। তাদেরও প্রচারণায় সরব রয়েছেন জেলা ও মহানগরের কয়েকজন প্রার্থী। তবে নির্বাচনী প্রচারণায় জাতীয় পার্টির একক প্রার্থী হয়ে পুনরায় নির্বাচিত হতে দলকে সুসংগঠিত করে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বর্তমান মেয়র মো. মোস্তাফিজার রহমান (মোস্তফা) ।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, রসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মাঠে প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে আছেন, দলের রংপুর মহানগরের সভাপতি সফিয়ার রহমান সফি, সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আতাউর জামান বাবু ও রংপুর জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও শ্রমিকলীগ নেতা এম এ মজিদ। এসব প্রার্থীরা ইতোমধ্যে জনসমর্থন আদায়সহ দলীয় মনোনয়ন চেয়ে নগরীতে ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন ও স্টিকার লাগিয়েছেন। পাড়া-মহল্লাতে সভা-সমাবেশও করছেন। এছাড়া সিটি নির্বাচনে মনোনয়ন চাইতে পারেন রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম, রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি রেজাউল ইসলাম মিলন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় নেতারা বর্তমান সরকার ও ইসির অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে আসলেও রংপুর সিটি নির্বাচনে অংশ নিতে তাদের দলের দু-একজন নেতা প্রকাশ্যে প্রচারণা চালাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারেন রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, সাবেক সহ-সভাপতি কাওছার জামান বাবলা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজু ও জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজু।

এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক পৌর মেয়র আবদুর রউফ মানিক, নারী নেত্রী সুইটি আনজুম, ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান বনির নামও শোনা যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, পৌরসভা থেকে ৩৩টি ওয়ার্ড নিয়ে রংপুর সিটি করপোরেশন গঠন হয় ২০১২ সালের ২৮ জুন। এরপর প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর। এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সরফুদ্দিন আহমেদ ঝণ্টু প্রথম নগরপিতা হিসেবে নির্বাচিত হন।

২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর দ্বিতীয় নির্বাচনের সময় এই সিটি করপোরেশনে ভোটার ছিল ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪ জন। এতে জাপা প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা মেয়র নির্বাচিত হন। বর্তমানে এই সিটির জনসংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। আর ভোটার আছেন ৪ লাখের বেশি।

আমিরুল/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়