ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

উচ্ছেদের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ 

পটুয়াখালী (উপকূল) প্রতিনিধি   || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৩৭, ১২ নভেম্বর ২০২২  
উচ্ছেদের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ 

‘আগে পুনর্বাসন এবং পরে উচ্ছেদ’ এই স্লোগানে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন অবৈধ দখলদাররা। এতে প্রায় দুই ঘণ্টা ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে ইউনএনও’র হস্তক্ষেপে বিক্ষোভকারীরা সড়ক সরে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। 

শনিবার (১২ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ৪০০ বসতবাড়ি উচ্ছেদে জেলা প্রশাসন অভিযান শুরু করে। এসময় সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পূর্বপাশে দুই কিলোমিটার এলাকার ৭৩ একর ভূমির মালিকানা দাবি নিয়ে সরকারের সাথে মনির আহম্মেদ ভূইয়া গং, সিরাজুল ইসলাম মিয়াজী গংদের মামলা চলছে। ১৯৭২ সাল থেকে মামলাটি শুরু হয়। এ মামলায় কখনো সরকার পক্ষ আবার কখনো পাবলিকের পক্ষে রায় দেন আদালত। গত ১০ নভেম্বর পটুয়াখালী জেলা জজ আদালত নিষেধাজ্ঞা স্থাগিত করলে জেলা প্রশাসক সরকারি জমিতে থাকা বাড়িঘর, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের উদ্যোগ নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় জেলা প্রশাসন উচ্ছেদ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। 

জেলা প্রশাসন সূত্রে আরো জানা যায়, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতকে আর্ন্তজাতিক মানের পর্যটন নগরীতে রূপান্তরের লক্ষ্যে সরকার মেঘা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়নে মহাউন্নয়ন পরিকল্পনা প্রনয়নে কাজ করছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় কুয়াকাটায় বেড়িবাধেঁর বাইরের সব স্থাপনা সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ হাতে নেওয়া হয়।

কুয়াকাটা সৈকতের পারের বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব রহিম মিয়া জানান, তারা ৫০-৬০ বছর ধরে বেড়িবাধেঁর বাইরে বসবাস করছেন। হঠাৎ করে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন তাদের বাড়িঘর সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয়। কোনো আগাম নোটিশ না দিয়ে উচ্ছেদের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে বাধ্য হন।

 

একই এলাকার বাসিন্দা ৭০ বছর বয়সী নাসির গাজি জানান, পুনর্বাসন ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ করলে আমার বাড়িঘর নিয়ে কোথায় গিয়ে থাকবো। স্ত্রী সন্তান নিয়ে পথে বসতে হবে। তাই আমার পুনর্বাসনের দাবি জানাই।  

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, কুয়াকাটায় বেড়িবাধেঁর বাইরে সৈকত লাগোয়া দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সরকারি জমি। এই জমি বহু বছর ধরে ভুয়া মালিকানা দাবিতে ভোগদখল করে আসছিলেন কতিপয় অবৈধ দখলদাররা। আদালত কর্তৃক মালিকানা দাবিনামা নিস্পত্তি হয়েছে। মালিকানা নিয়ে জটিলতা নিরসন হয়েছে। এই জমি এখন সরকারের। তাই সরকারি জমি উদ্ধারে জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, সরকারি জমিতে যারা অবৈধভাবে বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করছে তাদের সরে যেতে হবে। তবে প্রকৃত ভূমিহীনদের সরকার পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে।

ইমরান/ মাসুদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়