মুন্সীগঞ্জে সরিষার বাম্পার ফলনের আশা

এ বছর মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কলমা ইউনিয়নের পদ্মার চরে সরিষার ব্যাপক আবাদ করেছেন কৃষকেরা। সরিয়ার ভালো ধরন হয়েছে। তাই বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, কয়েক বছর ধরে আলু চাষ করে লোকসান দিচ্ছিলেন কৃষকরা। চলতি বছর ৩৮০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি কর্মকর্তারা। লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ৪ হাজার কৃষককে দেওয়া হয়েছে প্রণোদনাও। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭০ হেক্টর বেশি অর্থাৎ মোট ৪৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার কলমার ৩০০ হেক্টর বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে সরিষার আবাদ হয়েছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ৪ হাজার সরিষা চাষিকে প্রণোদনা হিসেবে ১ কেজি করে বীজ, ১০ কেজি এমওপি ও ১০ কেজি ডিএপি সার দেওয়া হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল বারি ১৪ ও বারি ১৭ এবং বিনা ৪ ও বিনা ৯ জাতের সরিষা আবাদ করে চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। ফলন বাড়াতে মাঠ সহকারীরা তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শও দিচ্ছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ধরনও হয়েছে ভালো।

লৌহজং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, এ উপজেলার কৃষকেরা মূলত আলুর আবাদ করে থাকেন। কিন্তু আলুর চাহিদা ও দাম দিন দিন কমে যাওয়ায় এবং বিপরীতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় ক্রমাগত কয়েক বছর ধরে তারা লোকসান গুনছেন। বিষয়টি অনুধাবন করে আমরা কৃষকদের সরিষা চাষে উদ্বুদ্ধ করছি। কারণ, এতে খরচ কম লাভ বেশি। রোপনের ৮০ দিনের মাথায় ক্ষেত থেকে ঘরে সরিষা তোলা যায়। প্রতি বিঘা সরিষা আবাদে কৃষকদের ৪-৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বিঘা প্রতি জমিতে ৬-৭ মণ সরিষা উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। ৪ হাজার টাকা মণ হিসেবে খরচ বাদে কৃষকদের প্রতি বিঘায় ২০-২৫ হাজার টাকা লাভ হবে। 

তিনি আরও জানান, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে এ উপজেলায় ১৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। কিন্তু চলতি বছরে আবাদ হয়েছে ৪৫০ হেক্টর অর্থাৎ আগের চেয়ে তিনগুণ। লৌহজংয়ের পদ্মার চরে ৩০০ হেক্টর জমিতে প্রায় ৪৫০ মেট্রিক টন সরিষার উৎপাদন হবে এবং তা থেকে ১৫০ মেট্রিক টন খাঁটি সরিষার তেল পাওয়া যাবে। এর বাজারমূল্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা।