ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রোগীর মাথা ফাটানোর অভিযোগ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১৭, ৩১ মার্চ ২০২৩   আপডেট: ১২:৩৩, ৩১ মার্চ ২০২৩
চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রোগীর মাথা ফাটানোর অভিযোগ

চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র পরিবর্তন করতে যাওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক কর্তৃক দরজা বন্ধ করে এক রোগীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী হাসপাতালে গিয়ে ওই চিকিৎসককে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে চিকিৎসককে মুক্ত করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বিকেলে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘটনাটি ঘটে।

অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম ডা. মাহমুদুল হাসান। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উপজেলার মন্ডলপাড়া এলাকার মৃত শমছ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে মো.জাহাঙ্গীর আলম (৬০) ডায়রিয়ার রোগী। গত ২৮ মার্চ চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি ব্যবস্থাপত্র নিয়ে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহমুদুল হাসানের কাছে যান। এসময় চিকিৎসকের সঙ্গে বসে থাকা ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি, ডাক্তার ও রোগীর কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে চিকিৎসক তার কক্ষের দরজা বন্ধ করে রোগীকে মারধর করতে শুরু করেন। মারধরের কারণে রোগীর মাথা ফেটে যায়।  

ঘটনার পরপরই হাসপাতালের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী হাসপাতালের ওই চিকিৎসককে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে এলাকাবাসীর কাছ থেকে চিকিৎসককে মুক্ত করা হয়।

আহত রোগী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তিন দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি থেকে ডায়ারিয়ার চিকিৎসা নিচ্ছি। রোগ ভালো না হওয়ায় চিকিৎসা পরিবর্তনের জন্য ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ডা. মাহমুদুল হাসানের রুমে যাই। সেখানে প্রবেশ করা মাত্র একটি ফার্মাসিউটিক্যালসের কর্মরত প্রতিনিধি আরিফ আমার হাত থেকে কাগজটি কেড়ে নেন। তিনি কেন কাগজ কেড়ে নিলেন জানতে চাইলে ডা. মাহমুদুল হাসান ও আরিফ রুমের দরজা বন্ধ করে আমাকে মারতে শুরু করেন। তারা দেওয়ালের সঙ্গে ধাক্কা দিয়ে আমার মাথা ফাটিয়ে দেন।

হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা.মাহমুদুল হাসান জানান, রোগী আমার রুমে আসলে কোনো একটি বিষয় নিয়ে আমার সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এসময় বাইরে থাকা রোগীর অভিভাবকরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি জরুরী মিটিংয়ে ছিলাম। বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো। 

চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো.রুকুনুজ্জামান শাহীন বলেন, হাসপাতালে বিবাদমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। পরবর্তীতে বসে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর-এ মোর্শেদ বলেন, চিকিৎসক ও রোগীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধানের জন্য আলোচনা হচ্ছে। এছাড়াও আমরা তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি। যদি আমাদের চিকিৎসকের অপরাধ থাকে তাহলে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


 

বাদশাহ/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়