ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

গোবিন্দগঞ্জে পানি উঠছে না নলকূপে, বিপাকে বাসিন্দারা

গাইবান্ধা সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৫৬, ৩০ এপ্রিল ২০২৩  
গোবিন্দগঞ্জে পানি উঠছে না নলকূপে, বিপাকে বাসিন্দারা

পানির সঙ্কট দূর করতে চলছে নলকূপ স্থাপনের কাজ

চলতি শুষ্ক মৌসুমে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় কয়েক দিন ধরে উত্তরের জেলা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় শত শত নলকূপে পানি উঠছে না। এছাড়া আরো কিছু নলকূপে পানি উঠলেও তা একেবারেই নগন্য। ফলে গৃহস্থালির কাজে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। পানি না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ বাসিন্দারা।

ভুক্তভোগীরা জানান, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলোর প্রায় ৮০ শতাংশ শুকিয়ে গেছে চলতি শুষ্ক মৌসুমে। এছাড়া ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারে কোনো নিয়ম মানা হচ্ছে না। বিশেষ করে ইরি ধানের মাঠে সেচকাজে ভূগর্ভস্থ পানি তোলায় পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। এতে চাপ পড়ছে অগভীর নলকূপে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার সাপমারা, ইউনিয়নের চকরহিমাপুর, খামারপাড়া, সাপমারা, সাহেবগঞ্জ, মেরী ও তরফকামাল, কাটাবড়ী ইউনিয়নের মাহমুদবাগ, বাগদা, বাগদা কলনী ও বেলতলা, গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের তরফমনু, কাইয়াগঞ্জ, পরগয়রা, গুমানীগঞ্জ, ফুলপুকরিয়াসহ উপজেলার কামদিয়া, রাজাহার, শাখাহার  ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে খাবার পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এসব গ্রামে আগে ২০ থেকে ৩০ ফুট মাটির নিচে পানির স্তর পাওয়া যেত। কিন্তু এখন পানির স্তর মিলছে না ৪০ থেকে ৫০ ফুট নিচেও।

নলকূপ ও পানির পাম্প বসিয়েও পানি না আসায় সঙ্কট মোকাবেলা করতে সামর্থবানদের অনেকেই বাসা-বাড়িতে সাবমারসিবাল পাম্প বসিয়ে পানি সংগ্রহ করছেন। কিন্তু নিম্ন আয়ের মানুষ ও শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন বিপাকে। তারা খাবার পানির জন্য অন্যের বাড়িতে ধর্না দিচ্ছেন। 

উপজেলার সাহেবগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা সন্তোষ মোহন্ত বলেন, ‘করতোয়া নদীর পাশে বাড়ি থাকার পরেও নলকূপে পানি পাচ্ছি না। নদীতে গোসল করলেও খাবার পানির জন্য যেতে হচ্ছে অন্যের বাড়িতে। সামর্থ না থাকায় বসাতে পারছি না সাবমারসিবাল পাম্প। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।’

সাপামারা গ্রামের বাসিন্দা আমজাদ হোসেন বলেন, ‘আগে যে স্তরে নলকূপ বসিয়ে পানি পাওয়া যাচ্ছিল এখন সে স্তর থেকেও পানি পাওয়া যাচ্ছে না। আমার প্রতিবেশীদের বেশির ভাগ পরিবার পানির সঙ্কটে রয়েছে।'

এই বিষয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী সাহা আলী বলেন, ‘বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবছর মাটির নিচের পানির স্তর আরো বেশি নেমে গেছে। এ কারণেই এখন সাধারণ দূরত্বের তুলনায় আরো গভীরে নলকূপ স্থাপন করতে হচ্ছে। এজন্য বিশেষ ব্যবস্থায় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে পানির সঙ্কট দেখা দেওয়া এলাকাগুলোতে পাম্প বসানো হচ্ছে।’

সুদীপ্ত/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়