ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

রংপুরের বাজারে ‘গোলাপি’ আম, বিক্রিও ভালো

আমিরুল ইসলাম, রংপুর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:১৬, ২ মে ২০২৩   আপডেট: ১৯:২০, ২ মে ২০২৩
রংপুরের বাজারে ‘গোলাপি’ আম, বিক্রিও ভালো

গোলাপি আম

রংপুরে ফলের দোকানসহ ভ্রাম্যমাণ ফল ব্যবসায়ীরা ভ্যানে বা ফেরি করে বিক্রি করছেন এক ধরনের আম। ‘গোলাপি’ নামের এই আম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৬০ টাকা দরে। দেখতে সুন্দর হলেও অনেকটা অপরিপক্ক এই ফলটি আম সিজনের আগে পেয়ে অনেকেই কিনছেন শখের বশে। 

এদিকে, রংপুর কৃষি বিভাগ বলছে, রংপুর অঞ্চলের আম বাজারে আসবে জুনের মাঝামাঝি সময়ে।

মঙ্গলবার (২ মে) বিকেলে নগরীর তাজহাট এলাকায় ভ্যানে করে তরমুজসহ আম বিক্রি করতে দেখা গেছে রাসেল মিয়া নামের এক ভ্রাম্যমাণ ফল ব্যবসায়ীকে। মৌসুমের আগে বাজারে পাকা আম দেখে রাসেলের ভ্যানকে ঘিরে উৎসুক জনতারও ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো। এসময় অনেককেই নাকে ঘ্রান নিয়ে গোলাপি আমের দাম করতে দেখা যায়। ১৬০ টাকা কেজি শুনে পিছিয়ে যেতে দেখা যায় অধিকাংশ ক্রেতাদের। তবে অনেকেই কিনতে দেখা গেছে আমটি।

পাকা আমের পাশাপাশি দেশি আটির কাঁচা আমও বিক্রি করেছেন তাজহাট এলাকার এই ফল ব্যবসায়ী। পাকা আমের চাহিদার চেয়ে বাড়িতে আচার করতে রাসেলের কাঁচা আম বিক্রির হচ্ছে অনেক বেশি বলেও দাবি করেন রাসেল। প্রতিকেজি কাঁচা আম রাসেল বিক্রি করছেন ৪০ টাকা কেজি দরে। শুধু রাসেলই নন নগরীর অলিগলিতে ফলের দোকানগুলোতে এখন দেখা মিলছে আমদানিকৃত নতুন আমের।

আম বিক্রেতা রাসেল বলেন, আমি এই এলাকায় মৌসুমি ফল বিক্রি করি। দুই মাস থেকে পুরোদমে তরমুজ বিক্রি করেছি। গত তিন চার দিন ধরে তরমুজের পাশাপাশি পৌরবাজার থেকে দুই এক ক্যারেট করে নতুন আমদানিকৃত আম বিক্রি করছি। নতুন হিসেবে চাহিদা আছে এ আমের। পাশাপাশি কাঁচা আম আড়ৎ থেকে এনেও বিক্রি করছি।

তিনি আরও বলেন, বাজারে নতুন আম দেখতে পেয়ে অনেকেই শখের বসে কিনছেন। আমের ঘ্রান অনেক সুন্দর। গতকাল সোমবার ২৫ কেজির এক ক্যারেট আম পৌরবাজারের ‘রুবেল ফল ভান্ডার’ থেকে পাইকারি দরে এনেছিলাম। ওই এক ক্যাটের আম বিক্রি হয়ে গেছে।আজ একই স্থান থেকে আরও দুই ক্যারেট আম নিয়ে এসেছি। বিক্রিও ভালোই হচ্ছে। 

আম কিনতে আসা আব্দুল মতিন মিয়া বলেন, আমাদের এলাকার দেশি আটির আমসহ হাড়িভাঙ্গা আম পরিপক্ক হয়ে বাজারে আসতে আরও প্রায় দেড় মাস সময় লাগবে। আজ বাজার করতে এসে আম দেখে এক কেজি কিনে নিলাম। দেখি কেমন লাগে ইন্ডিয়ান এই চালানি আম! তবে আমের সাইজের সঙ্গে দামের অঙ্কটা বেশি বলে দাবি তার।

রংপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (উদ্যান) কৃষিবিদ শামীমুর রহমান জানান, বাজারে কিছু আম বিক্রি হতে আমি দেখেছি। কিন্তু আমগুলো দেখে মনে হয়নি এগুলো রংপুর কিংবা রাজশাহী অঞ্চলের আম। তবে আঁটি দেখে পরিপক্ক আম খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

এই অঞ্চলের আমের হারভেস্টের বিষয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, আমাদের অঞ্চলের আম পরিপক্ক হয়ে বাজারে আসতে শুরু করবে জুনের মধ্যবর্তী সময়ে। আর রাজশাহী অঞ্চলের কিছু আম বাজারে আসবে মে মাসের মধ্যবর্তী সময় থেকে।

মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়