ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৮ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ফাঁকা মাঠে ২২ লাখ টাকার সেতু 

বেলাল রিজভী, মাদারীপুর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:১৬, ২৯ মে ২০২৩   আপডেট: ১৮:২৬, ২৯ মে ২০২৩
ফাঁকা মাঠে ২২ লাখ টাকার সেতু 

আশপাশে সড়ক নেই, বাড়িঘরও নেই, অথচ সেখানে সেতু নির্মাণ করে সরকারি অর্থ অপচয়ের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি উপজেলা প্রকৌশলীর স্থান নির্বাচনে ভুলের কারণে লাখ লাখ টাকা খরচ করে তৈরি সেতুটি জনগণের কাজে আসছে না।  

মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের মধ্যচর গ্রামে খালের উপর নির্মিত সেতু তৈরিতে ২২ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।   

আরো পড়ুন:

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসী জানান, সেতুর ওপারে প্রভাবশালী এক ঠিকাদার গরুর খামার তৈরি করবেন। এ কারণে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। তবে তাদের দাবি সেতুটি তেমন কোনো কাজেই আসবে না। ওই ঠিকাদার খালের ওপারে খামারের জন্য জমি কিনেছেন বলেও তারা জানান।  

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, যে কোনো স্থাপনা নির্মাণের আগে উপজেলা প্রকৌশলীর মাধ্যমে স্থান নির্বাচন করে সেই স্থাপনার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কিত তথ্যসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। অনুমোদন হলে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। এরপর ওই স্থাপনার নির্মাণ কাজ শুরু হয়।  

মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। ব্যয় ধরা হয়েছিল ২২ লাখ টাকা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আব্দুল্লাহ ট্রেডার্স কাজটি সম্পন্ন করেছে। 

আব্দুল্লাহ ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আকতার হোসেন বাবুল এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি টেন্ডার পেয়ে কাজ করেছি। স্থান নির্বাচন করে আমাকে সাইড বুঝিয়ে দিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার। আমার দায় কাজের গুণগত মান নিয়ে। এই সেতু দিয়ে লোক চলাচল না করার দায়ভার আমার নয়।’ 

খোয়াজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য দবির মালত বলেন, ‘আমাদের এলাকায় অনেক স্থানে সেতু দরকার কিন্তু নেই। একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে সেখানে বাড়িঘর নেই, রাস্তাঘাটও নেই। সেতু নির্মাণ হবে সেটাও আমরা জানতাম না।’ 

একই মন্তব্য করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল মোল্লা বলেন, ‘ওখানে সেতু নির্মাণের বিষয়টি আমরা জানতাম না।’ 

এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। 

মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাইনুদ্দিন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘কাজে আসবে না এমন স্থানে সেতু নির্মাণ করার কথা নয়। সেতু নির্মাণের আগে স্থান নির্বাচন করা হয়।’

বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।  

/বকুল/

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়