ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৮ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

দুই লাইট ও এক ফ্যানের বিল ৫৪ হাজার টাকা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:১৪, ৩০ মে ২০২৩   আপডেট: ১৯:৫৩, ৩০ মে ২০২৩
দুই লাইট ও এক ফ্যানের বিল ৫৪ হাজার টাকা

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের কুষ্টারি গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে থাকেন মোছা. মজিরন বেগম (৫২)। অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান তিনি। কিন্তু তার সেই আবাসনের ঘরে ব্যবহৃত একটি ফ্যান ও দুটি বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালানোর মাসিক বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৫৪ হাজার ২৩৭ টাকা। ভুতূড়ে এই বিদ্যুৎ বিলের কাগজ পেয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন তিনি।

মজিরন বেগমকে দেওয়া পল্লী বিদ্যুতের এক মাসের বিলের কাগজে দেখা যায়, তার বৈদ্যুতিক মিটারে বর্তমান রিডিং ৬৯৪৫ এবং পূর্ববর্তী রিডিং ২৮৭৭। মজিরনের ব্যবহৃত ইউনিট দেখানো হয়েছে ৪ হাজার ৬৮। ২৭ মে জরিমানা ছাড়া বিল পরিশোধের তারিখ উল্লেখ করে তাকে ৫৪ হাজার ২৩৭ টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছিল। একটি ফ্যান ও দুটি লাইটে বিগত মাসগুলোতে ২০০ থেকে ২২০ টাকা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করলেও মে মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৫৪ হাজার ২৩৭ টাকা। বিলের এমন ফিরিস্তি দেখে মজিরন বেগম দুচিন্তায় পড়ে যান। পরে তিনি বিদ্যুৎ অফিসসহ বিভিন্ন জনের কাছে সমাধানের জন্য যান। সর্বশেষ চিলমারী উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তিনি পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাকে ফোন দিলে বিষয়টি সমাধান হয়। 

আরো পড়ুন:

ভুক্তভোগী মজিরন বলেন, ‘আমার ঘরে একটা ফ্যান ও দুইটি লাইট জ্বলে। গত মার্চ ও এপ্রিল মাসে ২২০ টাকা করে বিল দিয়েছি। কিন্তু এই মাসে বিল দিছে ৫৪ হাজার টাকার বেশি। আমি নিজে লেখাপড়া জানি না। অন্যরা যখন আমার বিলের কাগজ দেখে এত টাকার কথা জানায় তখন আমার মাথা ঘুরে যায়। এটা কেমন করি হয়! দুইটা লাইট আর একটা ফ্যান চালার বিল এতো টাকা! আমি কেমন করি এই বিল দেব? আমি বিলের কাগজ নিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গেলে তারা পুরো বিল পরিশোধ করতে বলে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরে আমি নিরূপায় হয়ে বিষয়টা উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানাই। আজ মঙ্গলবার (৩০ মে) পল্লী বিদ্যুতের লোকজন এসে কাগজসহ আমাকে বিদ্যুৎ অফিসে নিয়ে যায়। তারা ১৬০ টাকা বিল পরিশোধ করতে বললে তা দিয়ে আসি।’

চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রুকুনুজ্জামান শাহীন বলেন, ‘মজিরন বেগম আমার প্রতিবেশী। তিনি আমার অফিসে এসে মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছিল। পরে বিষয়টি আমি চিলমারী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএমকে সমাধান করার কথা জানিয়েছিলাম।’

চিলমারী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোস্তফা কামাল জানান, মজিরন নেছা নিজে নিজেই বিদ্যুৎ মিটার এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরিয়ে নিয়েছিলেন। এ কারণে মিটার রিডিং এমন হয়েছিল। মূলত মিটারে সমস্যার কারণে এ বিল এসেছে। তবে এটি খসড়া বিলের কপি ছিল। আমরা তার বিলের বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি।

বাদশাহ/মাসুদ/এনএইচ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়