ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

এক লাইট এক ফ্যানের বিল ৭২০০ টাকা, দিশেহারা বিধবা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১২, ৪ জুন ২০২৩  
এক লাইট এক ফ্যানের বিল ৭২০০ টাকা, দিশেহারা বিধবা

কাছিরন বেওয়া

কুড়িগ্রামে একটি লাইট ও একটি ফ্যানের জন্য বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৭ হাজার ২০০ টাকা। এতে বিপাকে পড়েছেন কাছিরন বেওয়া নামের একজন বিধবা।

কাছিরন বেওয়া জেলার উলিপুর পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের রামদাস ধনিরাম সরদার পাড়া গ্রামের মৃত কাশেম আলীর স্ত্রী। একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দিয়ে বাড়িতে একা বসবাস করেন। সরকারের দেওয়া বিধবা ভাতা আর অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি।

বিদ্যুতের এমন অস্বাভাবিক বিলে কাছিরনের ঘুম উড়ে যাওয়ার উপক্রম। বিলের কাগজ নিয়ে এ বাড়ি, ও বাড়ি ঘুরছেন তিনি।  দুই দিন পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির উলিপুর অফিসে গেলেও কোনো সমাধান পাননি। বিল নিয়ে দিনমজুর এ নারী এখন দিশাহারা।

কাছিরনকে দেওয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মে মাসের বিলের কাগজে দেখা গেছে, বর্তমান ইউনিট ৬০, পূর্ববর্তী ইউনিট ০ ও ৭১৬।  ব্যবহৃত ইউনিট উল্লেখ করা হয়েছে ০।  তবে গড় বিল উল্লেখ করা হয়েছে ৬ হাজার ৪৬২ টাকা। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে বিল পরিশোধ করলে কাছিরনকে অন্যান্য চার্জসহ ৭ হাজার ২০০ টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।

কাছিরন বেওয়া বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার পর ঘরে একটি লাইট আর একটি ছোট্ট ফ্যান ব্যবহার করে আসছি। এর বাইরে কোনো বিদ্যুৎ ব্যবহার করি না। প্রতি মাসে ১৩০ টাকা থেকে ১৩৫ টাকা বিদ্যুৎ বিল আসে।

তিনি জানান, কম বিল আসায় মার্চ মাসে মিটারটি পরিবর্তন করে নেওয়া হয়। এরপর গত দুই মাস তাকে বিদ্যুৎ বিল দেওয়া হয়নি। মে মাসে তাকে ৭ হাজার ২০০ টাকা বিল দেওয়া হয়েছে।

বিদ্যুৎ বিলের কাগজ

কাছিরন বলেন, ‘মানুষের বাড়িতে কাজ করা আর সরকারের ভাতার টাকায় কোনরকম সংসার চলে। একটা লাইট আর ফ্যান চালাতেই এতো টাকা বিল হয় কিভাবে। বিলের কাগজ নিয়া দুই দিন অফিস গেছিলাম। কোনও কথা শোনে না। ৭ হাজার ২০০ টাকা পরিশোধ করতে বলেছে। আমি গরিব মানুষ, এতো টাকা কিভাবে পরিশোধ করবো।’

কাছিরনের বিদ্যুৎ বিল অস্বাভাবিক বলে স্বীকার করেছেন কুড়িগ্রাম লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উলিপুর অফিসের ডেপুটি জোনাল ম্যানেজার (ডিজিএম) সোহানুর রহমান। 

তিনি বলেন, ‘বিলের কাগজে যে রিডিং উল্লেখ করা হয়েছে সেটি আমার কাছেও অস্বাভাবিক মনে হয়েছে। আমি বিলিং সহকারীর কাছে জানলাম, এটাতে সমস্যা হয়েছে। সংশোধন করা হবে।’

ডিজিএম আরও বলেন, ‘পুরাতন মিটারের একটি ইউনিট ভুলবশত এ বিলে উঠে গেছে। বিলিং সহকারী আগের নষ্ট মিটারের ইউনিট এ বিলে দিয়ে থাকতে পারেন। বিষয়টি দেখে আমরা সংশোধন করে দেবো।’

/বাদশাহ্ সৈকত/এসবি/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়