ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৮ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ফরিদপুরে বেড়েছে চার্জার লাইট-ফ্যান বিক্রি

নাজমুল হাসান নিরব, ফরিদপুর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:১৪, ৬ জুন ২০২৩  
ফরিদপুরে বেড়েছে চার্জার লাইট-ফ্যান বিক্রি

তীব্র গরম ও ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে সৌর বিদ্যুৎ, চার্জার ফ্যান ও চার্জার লাইট বিক্রির ধুম পড়েছে ফরিদপুরে। ছোট-বড় নানা ধরনের সৌর বিদ্যুতের প্যানেল থেকে শুরু করে চার্জার ফ্যান এবং বিভিন্ন ধরনের চার্জার লাইট দেদারসে বিক্রি হচ্ছে শহরের নিউ মার্কেটসহ আশপাশের বাজারগুলোতে। 

দিনে-রাতে বর্তমানে লোডশেডিং হওয়ায় বিপাকে পরেছেন সাধারণ মানুষ। তাই গরম ও রাতের অন্ধকার থেকে বাঁচতে বিকল্প ব্যবস্থা করছেন অনেকে। পরিবারের লোকজন নিয়ে কষ্ট করতে না হয় সেজন্য সৌর বিদ্যুৎ, চার্জার ফ্যান, লাইট, আইপিএস সংগ্রহ করছেন তারা। 

আরো পড়ুন:

দোকানিরা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে সৌর বিদ্যুৎ, চার্জার লাইট ও চার্জার ফ্যানের চাহিদা বেড়েছে। দামও একটু বেশি। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম রয়েছে ফ্যানের। প্রতিদিনই অনেক ফ্যান বিক্রি হচ্ছে। চায়না মিনি ফ্যানগুলো বেশি চলছে। স্কুল শিক্ষার্থীরা এ ফ্যান বেশি কিনছে। ২০০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে মিনি ফ্যানগুলো বিক্রি হচ্ছে। এক চার্জে এই ফ্যান এক থেকে দেড় ঘণ্টা চলে। এছাড়া মান ও আকার অনুযায়ী ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে থাকা ফ্যানগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে।

মো. আলমগীর নামে এক দোকানি বলেন, গরম এবং লোডশেডিং বাড়ায় চার্জার ফ্যান বেশি বিক্রি হচ্ছে। আগের তুলনায় প্রতিদিন দ্বিগুণ বিক্রি হচ্ছে। দামও বেড়েছে। চায়না ফ্যানগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে। অন্য ফ্যানের চেয়ে তুলনামূলক দাম একটু কম এগুলোর। এছাড়া মিনি ফ্যান বিক্রি হচ্ছে প্রচুর। অনেকে ফ্যানের ব্যাটারিও কিনে নিচ্ছেন।  

ফ্যান কিনতে আসা কলেজ ছাত্রী শাবনুর বলেন, এখন চার্জার ফ্যানের বিকল্প নেই। রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে কেউ পড়তে পারে না। এর ওপর গরমতো রয়েছেই। এজন্য চার্জার ফ্যান নিচ্ছি। বাজারে ফ্যানের দাম অনেক বেশি।

অপর এক ক্রেতা বলেন, বাসায় বাচ্চাদের পাশাপাশি বৃদ্ধ মায়ের ঘুমাতে সমস্যা হচ্ছে গরমে। ঘরে বাচ্চারা অনেক রাত পর্যন্ত পড়াশোনা করে। এসি রেখেও লাভ নেই। বিদ্যুৎ না থাকলেও সব কিছুই অচল। তাই গরম থেকে  স্বস্তি পেতে সৌর বিদ্যুৎ কিনতে এসেছি।

বিক্রেতা কাউছার হোসেন জানান, প্রচণ্ড গরমে বিক্রি বেড়ছে ভালই। কিন্তু এ অবস্থা বেশি দিন চলতে থাকলে মানুষের দুর্ভোগের শেষ থাকবে না। গরমে বেচাবিক্রি ভালই হয়। তারওপর এবার তাপদাহ লম্বা সময় ধরে থাকায় এবং লোডশেডিং শুরু হওয়ায় চাহিদা আরো বেড়েছে।

মাসুদ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়