ঢাকা     সোমবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৭ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

রাসিক নির্বাচন: পোস্টার নেই ৩ মেয়রপ্রার্থীর, মাঠ লিটনের দখলে 

রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:০১, ৭ জুন ২০২৩  
রাসিক নির্বাচন: পোস্টার নেই ৩ মেয়রপ্রার্থীর, মাঠ লিটনের দখলে 

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে পাঁচ দিন আগে। কিন্তু শহরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ছাড়া অন্য তিন মেয়রপ্রার্থীর পোস্টারই নেই। তিন প্রার্থী নিজেরাই এখনও পোস্টার লাগাননি। তারা কিছু সমর্থক নিয়ে একবেলা করে পাড়া-মহল্লায় গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন।

ছোট তিন দলের তিন প্রার্থীর প্রচারণায় কচ্ছপগতি দেখা গেলেও ভিন্নচিত্র আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীর। প্রতিদিনই সকাল-বিকাল দুই বেলা করে তিনি ভোটারদের মাঝে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারাও লিফলেট হাতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। লিটনের স্ত্রী মহানগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেনীও বসে নেই। প্রতিদিনই তিনি কোনো না কোনো ওয়ার্ডে নির্বাচনি সভা করছেন নারীদের নিয়ে।

আরো পড়ুন:

শহরের ৩০টি ওয়ার্ডই এখন ভরে গেছে লিটনের পোস্টার, ব্যানার আর ফেস্টুনে। এভাবে ভোটের মাঠ দখল করেছেন রাজশাহী সিটির সদ্য সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। সেই তুলনায় ঢিমেতালে চলছে অন্য তিন প্রার্থীর প্রচারণা। এখনও পর্যন্ত পোস্টার দেখা যাচ্ছে না কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুরশিদ আলম বলেন, ‘আমাদের পোস্টার এখনও লাগানো হয়নি। পোস্টার তৈরির কাজ চলছে। আর কয়েক দিনের মধ্যে পোস্টার দেখতে পাবেন, ইনশাল্লাহ।’

একই প্রশ্নে কিছুটা কৌশলী উত্তর দিলেন জাকের পার্টি মনোনীত গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী লতিফ আনোয়ার। তিনি বলেন, ‘চাইলে এখনই পোস্টার দিতে পারতাম। কিন্তু পোস্টার দিয়ে মানুষের মনে পৌঁছানো যায় না। আমাদের মূল টার্গেট মানুষের হাতে হাতে লিফলেট তুলে দিয়ে ভালবাসা অর্জন করা। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে বিকালে একবেলা করে এই কাজটি করে যাচ্ছি। তবে আমাদেরও পোস্টার আসবে সামনে।’

পোস্টার না থাকার ব্যাপারে জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের মেয়রপ্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেন, ‘আমাদের পোস্টার হয়ে গেছে। লাগানোর জন্য দলের এক নেতাকে দেওয়া হয়েছে। তিনি এখনও লাগানোর কাজটা করতে পারেননি। দ্রুতই হয়ে যাবে।’

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিটি পাড়া-মহল্লা আওয়ামী লীগের প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটনের পোস্টার, ফেস্টুন ও লিফলেটে ছেয়ে গেছে। শহরের ৩০টি ওয়ার্ডে লিটন এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীদের পোস্টার। মেয়র পদের অন্য তিন প্রার্থীর একটি পোস্টারও চোখে পড়েনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও লিটনের প্রচারণা চলছে জোরেশোরে। মেয়র হিসেবে লিটনের করা উন্নয়নের ছবি এবং ভিডিওচিত্র দিয়ে আবার নৌকায় ভোট চাওয়া হচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমেও অন্য তিন প্রার্থীর প্রচারণা চোখে পড়ছে না।

মঙ্গলবার বেলা ১২টায় রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক থেকে গণসংযোগ শুরু করেন খায়রুজ্জামান লিটন। এরপর রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ), পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সদর দপ্তর ও রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে গিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভোট চেয়েছেন তিনি। বিকালে নগরীর ডাঁশপুকুর, নিমতলা জয় বাংলা মোড় ও বহরমপুর এলাকায় গণসংযোগ করেন তিনি।

গণসংযোগকালে লিটন বলেন, ‘রাজশাহীতে কর্মের জায়গা খুবই কম। তাই কর্মের জায়গা তৈরি করতে চাই। শিক্ষিত বেকারদের জন্য কিছু করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। রাজশাহীতে শিল্পায়ন ঘটানোর জন্য যে সমস্যাগুলো রয়েছে, সেগুলো তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ও বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে শিল্প-কারখানা আনার চেষ্টা করবো।’

অপপ্রচারে কান না দিয়ে সকলকে সজাগ থাকার জন্য আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘নির্বাচন এলে একটি মহল অপপ্রচারে লিপ্ত হয়। একটি দল বলছে, তাদের মার্কায় ভোট দিলে হজের সওয়াব পাওয়া যাবে। এ ধরনের মিথ্যা অপপ্রচারে কেউ কান দেবেন না। বিভ্রান্ত না হয়ে উন্নয়নের জন্য ২১ জুন নৌকায় ভোট দিন।’
 

কেয়া/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়