ঢাকা     সোমবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৭ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ভোমরায় ব্যবসায়ীকে আটকে নির্যাতনের অভিযোগ, আরেক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩৫, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩  
ভোমরায় ব্যবসায়ীকে আটকে নির্যাতনের অভিযোগ, আরেক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

মাকসুদ খান

সাতক্ষীরার ভোমরায় চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলায় ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৬ সেপ্টম্বর) সকালে সাতক্ষীরা সদর থানা মোড় সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে মাকসুদ খান ও তার ম্যানেজার মহসিন আলীসহ পাঁচজনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন নির্যাতনের শিকার ব্যবসায়ী সাউদ সাদাত।  

আরো পড়ুন:

মাকসুদ খান সাতক্ষীরা পৌরসভার কাটিয়া মাস্টারপাড়া এলাকার মাস্টার মাহফুজুর রহমানের ছেলে। আর শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে আটক হওয়া মহসিন আলী সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা গ্রামের বাসিন্দা।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, চট্রগ্রামের ব্যবসায়ী সাউদ সাদাতকে ১৩ দিন ধরে ভোমরায় ম্যানেজারের বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে মাকসুদ খানের বিরুদ্ধে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় সাউদ সাদাতকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় আটক করা হয় ম্যানেজার মহসিন আলীকে। শনিবার সকালে সাউদ সাদাত বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় মাকসুদ খান, ম্যানেজার মহসিন আলী, কর্মচারী আকাশ হোসেন, রাকিব হোসেন ও আজিজুল ইসলাম টপিকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে মাকসুদ খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

চট্রগ্রামের হাটহাজারী এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী সাউদ সাদাতকে সাতক্ষীরার ভোমরায় ১৩ দিন আটকে রেখে মাকসুদ খান তার ওপর নির্যাতন করছেন বলে পুলিশের কাছে শুক্রবার অভিযোগ করেন তার স্ত্রী ফারহানা রেজা। পরে সন্ধ্যায় সাউদ সাদাতকে ভোমরাস্থ মহসিনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের সময় ব্যবসায়ীর পায়ে ও শরীরের অন্যান্য অংশে আঘাতের চিহৃ ছিল বলে জানায় পুলিশ।

তবে শুক্রবার রাতে ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান বলেন, ‘সাউদ সাদাতের সঙ্গে চারমাস ধরে ব্যবসা চলছিল। লেনদেনও ভালো ছিল। তবে কোরবানি ঈদের ১০ দিন আগে আমার কাছ থেকে ১ কোটি ২৩ লাখ টাকার শুকনা মরিচ, রসুন, পেঁয়াজ নিয়ে আর টাকা দেননি তিনি।’

এ বিষয়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারি থানা ও সাতক্ষীরা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। তাকে আটকে রাখার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমার ম্যানেজারের সঙ্গে একসাথে একরুমে থাকতেন সাউদ সাদাত। খাওয়া-দাওয়া করতেন। ১৭ সেপ্টেম্বর আমার পাওনা ৫০ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা যাতে না দিতে হয়, সেজন্য তিনি এই অপহরণের নাটক তৈরি করেছেন।’
 

শাহীন/বকুল

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়