ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৮ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

সেই বোদেশ্বরী শক্তিপীঠ মন্দিরে এবার মহালয়া হবে অনাড়ম্বর

আবু নাঈম, পঞ্চগড় || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:০৫, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩   আপডেট: ০৯:০৯, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সেই বোদেশ্বরী শক্তিপীঠ মন্দিরে এবার মহালয়া হবে অনাড়ম্বর

ত্রিস্রোতা বোদেশ্বরী শক্তিপীঠ মন্দির। পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার প্রাচীন এই মন্দিরটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান। প্রতিবছর দুর্গোৎসবের ৫ দিন আগে মহালয়া উৎসব হয় এখানে। জাঁকজমকপূর্ণ এই উৎসবে জমায়েত হন বিভিন্ন অঞ্চলের বিপুল সংখ্যক পূণ্যার্থী। এবারও হবে মহালয়া উৎসব ঘিরে ধর্মসভা। তবে জাঁকজমক নয় অনাড়ম্বর।

জানিয়েছেন বোদেশ্বরী শক্তিপীঠ মন্দিরের সভাপতি নীতিশ কুমার বকসী মুকুল।

তিনি জানান, পঞ্জিকামতে আগামী ১৪ অক্টোবর শুভ মহালয়া। এর পালন নিয়ে পরিচালনা কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথসভা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে- এবারের মহালয়া ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও অনাড়ম্বরভাবে পালন করা হবে। এছাড়া অন্যান্য বছরের মত ব্যাপকভাবে প্রচার প্রচারণাও করা হবেনা।

মন্দির কর্তৃপক্ষ জানান, গত বছর মহালয়া উৎসব ছিলো ২৫ সেপ্টেম্বর। সেদিন মন্দিরে আসার পথে নৌকাডুবিতে মারা যান ৭১ জন পূণ্যার্থী। সেই শোক এখনো কাটেনি সনাতন ধর্মের অনুসারীদের। মৃতদের শান্তিকামনায় প্রতিনিয়ত প্রার্থণা করা হয় মন্দিরে।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান বোদেশ্বরী শক্তিপীঠ মন্দিরটি বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নে করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত। উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন থেকে বড়শশী ইউনিয়নকে আলাদা করে রেখেছে করতোয়া নদী। ফলে উপজেলা শহরের সঙ্গে এই এলাকার সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় একমাত্র ভরসা নৌকা। গত বছর মহালয়ার দিন কয়েকটি ইউনিয়নের পূণ্যার্থী এসেছিলেন এই পথে। মাড়েয়া ইউনিয়নের আউলিয়া ঘাট থেকে নৌকাযোগে এই পাড়ে আসছিলেন তারা। তবে একটি নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী উঠলে মাঝ নদীতে তলিয়ে যায় নৌকাটি। মুহূর্তেই করতোয়া পাড় হয়ে যায় মৃত্যুপুরি। এতে ৭২ জনের প্রাণহানি হয়। এদের মধ্যে ৭১ জনই সনাতন ধর্মের।

বোদেশ্বরী শক্তিপীঠ মন্দিরের সভাপতি বলেন, গতবছর মহালয়া উৎসব নির্বিঘ্নে করতে আমরা জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা চেয়ে আগেই আবেদন দিয়েছিলাম। সে অনুযায়ী ঘটনার দিন করতোয়া নদীর আউলিয়া ঘাটে পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের সামনে দিয়ে কিভাবে নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী উঠলো বুঝে আসেনা। এক পর্যায়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হলেন পূণ্যার্থীরা।

তিনি আরও বলেন, প্রতিবছর মহালয়ায় হাজার হাজার ভক্ত আসেন, পূজা অর্চনা করেন। গতবছরও এসেছিলেন, কিন্তু মর্মান্তিক নৌ দুর্ঘটনাটি এখনো আমাদের ব্যাথিত করে। এজন্য এবারের মহালয়া ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও অনাড়ম্বর ভাবে পালন করা হবে। তারপরও উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে করতে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা চাওয়া হবে।

/টিপু/

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়