ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৮ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

কলম দিয়ে খুঁচিয়ে ঘুমন্ত কয়েদির চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা

নোয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:১৮, ১ অক্টোবর ২০২৩   আপডেট: ২০:৫১, ১ অক্টোবর ২০২৩
কলম দিয়ে খুঁচিয়ে ঘুমন্ত কয়েদির চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা

ফাইল ফটো

নোয়াখালী জেলা কারাগারে ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এক কয়েদির দুই চোখ কলম দিয়ে খুঁচিয়ে উপড়ে ফেলার চেষ্টা করেছেন আরেক কয়েদি।

রোববার (১ অক্টোবর) ভোরে কারাগারের নিচতলার ১নং কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। আহত কয়েদি নূর হোসেন বাদলকে (৩২) উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নূর হোসেন বাদল নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষ্ণরামপুর গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে।

জেলা কারাগার সূত্র জানায়, ২০২১ সালে নারী নির্যাতনের একটি মামলায় নূর হোসেন বাদলকে ১০ বছরের সাজা দেন আদালত। পরে ওই মামলায় তিনি জামিন পেলেও আরেকটি মামলার বিচারকার্য চলমান থাকায় তাকে কারাগারেই রাখা হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারের নিচতলার একটি কক্ষে আরেক কয়েদির সঙ্গে থাকতেন।

দুই মাস আগে বাদলের এলাকা থেকে মহিন উদ্দিন নামের একজনকে মাদকসহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় জনতা। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে কারাদণ্ড প্রদান করেন। মহিন কারাগারের দ্বিতীয় তলায় থাকতেন।

কারাগার কর্তৃপক্ষ জানায়, দুই আসামির পরিবারের লোকজন জানিয়েছে, মহিনকে আটক ও পুলিশের সোপর্দ করার পেছনে নূর হোসেনের বাদলের মামারা জড়িত ছিলেন। এসব ঘটনার জেরে রোববার সকালে অন্য কয়েদিরা ঘুমিয়ে থাকার সুযোগে কারাগারে দ্বিতীয় তলা থেকে নিচে এসে নূর হোসেন বাদলের দুই চোখ কলম দিয়ে খুঁচিয়ে উপড়ে ফেলার চেষ্টা করেন মহিন। এ সময় বাদলের চিৎকার শুনে অন্য কয়েদি ও কারারক্ষীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে।

নূর হোসেন বাদলের মামা নুর নবী সোহেল বলেন, কলমের আঘাতে বাদলের একটি চোখ বের হয়ে গেছে। আরেক চোখের মধ্যে কলমের মুখ রয়ে গেছে।

নোয়াখালী জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার সৈয়দ মো. জাবেদ হোসেন বলেন, কারাগারের বাহিরের শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। সকালে কারাগারে আনলক করা হয়। এই সুযোগে মহিন ঘুমন্ত বাদলের দুই চোখে কলম দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করে। ভুক্তভোগীকে সঙ্গে সঙ্গে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন।

তিনি আরও বলেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কারাবিধি অনুসারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, তার বিরুদ্ধে সুধারাম মডেল থানায় মামলা করেছেন নোয়াখালী কারাগারের জেলার আমিরুল ইসলাম।

সুজন/কেআই

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়