মাদক কারবারিদের হামলায় আহত যুবকের মৃত্যু
নোয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
![মাদক কারবারিদের হামলায় আহত যুবকের মৃত্যু মাদক কারবারিদের হামলায় আহত যুবকের মৃত্যু](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2023November/Nowakhali-2311181406.jpg)
হুমায়ুন কবির মুকুল
নোয়াখালী সদর উপজেলায় মাদক কারবারিদের হামলায় আহত হুমায়ুন কবির মুকুল নামের এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে, গত ১ অক্টোবর সকালে উপজেলার সাহেবের হাট পশ্চিম বাজারে তার ওপর হামলা করে মাদক কারবারিরা। নিহত মুকুল উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের আবদুল্যাহপুর গ্রামের মো.আবদুল কাদের ডাক্তারের ছেলে।
নিহতের ভাই আবদুল মাবুদ পলাশ বলেন, তার ভাই মুকুল সেনবাগ উপজেলায় একটি বাড়ি-একটি খামার প্রকল্পে কর্মরত ছিলেন। তিনি এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুবাদে বিভিন্ন সময় মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কথা বলতেন। মাদক কারবারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে প্রতিবাদ করায় মাদক কারবারি কালামের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় মুকুলের। গত মাসে মুকুলের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। সন্তানকে দেখতে বাড়ি আসেন তার ভাই।
পলাশ অভিযোগ করে আরও বলেন, গত ১ অক্টোবর সকালে বাবার সঙ্গে নবজাতক শিশুর জন্য কেনাকাটা করতে সাহেবের হাট বাজারে যান মুকুল। এসময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মাদক কারবারি কালাম, ওমর, সাহাব উদ্দিন, সবুজ ও রায়হানসহ তাদের সঙ্গীরা মুকুলের ওপর হামলা করে। হামলায় মুকুল মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুত্বর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় ১ মাস ১৬ দিন পর গতকাল শুক্রবার মারা যান মুকুল।
মুকুলের বাবা মো.আবদুল কাদের ডাক্তার বলেন, ঘটনার পর মাদক কারবারি কালাম ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করি। ওই মামলায় আসামিরা কোর্ট থেকে জামিনে বেরিয়ে আমার বাড়িতে এসে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে যান। আমরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। সুধারাম থানায় একটি জিডিও করেছি। কিন্তু আসামিরা গ্রেপ্তার হয়নি।
সুধারাম মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠান বলেন, ঘটনার পরপরই একটি মামলা নেওয়া হয়েছে। ওই মামলাটিতে এখন ৩০২ ধারা যোগ হবে। মামলাটি এখন জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তদন্ত করছে।
সুজন/মাসুদ
আরো পড়ুন