ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বান্দরবানে খাদ্য সংকটে থাকা পরিবারগুলো পেল সহায়তা

বান্দরবান প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:১৬, ২৬ নভেম্বর ২০২৩  
বান্দরবানে খাদ্য সংকটে থাকা পরিবারগুলো পেল সহায়তা

বান্দরবানে রোয়াংছড়ির পাইংক্ষ্যং পাড়া, ক্যাপলং পাড়া, দুর্নিবার পাড়া ও খামতাং পাড়ায় ফিরে আসা খাদ্য সংকটে থাকা ১০৮টি বম পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী, শীতবস্ত্র, খেলাধুলা সামগ্রী, শিশুদের শিক্ষা সামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

রোববার (২৬ নভেম্বর) বান্দরবান সেনা রিজিওন ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে ক্যাপলং পাড়া ও পাইংক্ষ্যং পাড়ায় এ মানবিক সহায়তা দেওয়া হয়।

এলাকাবাসী জানায়, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কে জীবন বাঁচাতে বাড়ি-ঘর ছেড়ে নানা জায়গায় আশ্রয় নেওয়ায় পাড়ার অধিকাংশ বাসিন্দারা জুম চাষ করতে পারেননি। সেনাবাহিনীর সহায়তায় বাড়ি ছাড়া পাইংক্ষ্যং পাড়া, ক্যাপলং পাড়া, দুর্নিবার পাড়া, খামতাং পাড়ার অধিকাংশ পাড়াবাসীরা নিজ বাড়িতে ফিরলেও তাদের মধ্যে চরম খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছিল। এরই মধ্যে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খাদ্য সংকটের তথ্য প্রকাশিত হলে বান্দরবান সেনা রিজিওন ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে চার পাড়ার ১০৮টি পরিবারের মাঝে খাদ্য, শীতবস্ত্র, শিক্ষা সামগ্রী, শিশুদের জন্য খেলাধুলা সামগ্রী  ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

পাইংক্ষ্যং পাড়ার কারবারি (পাড়া প্রধান) বলেন, জুম চাষ করতে না পারায় ফিরে আসা পরিবারগুলো খাদ্য সংকটে আছে। সেনাবাহিনী ও জেলা পরিষদ থেকে যা দেওয়া হয়েছে তা অপ্রতুল। সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে আরও খাদ্য সহায়তা দরকার।

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা বলেন, খাদ্য সংকটে থাকা সব পরিবারকে খাদ্য, শীতবস্ত্র, শিশুদের শিক্ষা সামগ্রী ও খেলাধুলা সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে চলমান সকল সমস্যার সমাধানও করা হবে। এছাড়া বান্দরবান পার্বত্য জেলায় ১১টি বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর পাশাপাশি বাঙালিরও সহাবস্থান রয়েছে। তাই সকলে মিলে সম্প্রীতির বান্দরবান গড়ে তোলার আহ্বান জানাই।

এ সময় বান্দরবানের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, যারা এখনো পাড়ায় ফিরে আসেনি তাদেরকে নির্ভয়ে বাড়িতে ফিরে আসার আহ্বান জানাই এবং তাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে। যারা ফিরে এসেছে তাদের পরিবারে খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সকল ধরনের সহযোগিতা এবং আর্থ সামাজিক উন্নয়নের সকল প্রকার সহায়তা অব্যাহত রাখা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান সদর জোন কমান্ডার লেফট্যানেন্ট কর্নেল মাহমুদুল হাসান। রোয়াংছড়ি সাব-জোন কমান্ডার মেজর এম এম ইয়াছিন আজিজ, বান্দরবান জেলা পরিষদ সদস্য কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা, রোয়াংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান চহাই মং মারমা, রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোরশেদ আলম চৌধুরী, বম সোস্যাল কাউন্সিলের সভাপতি লাল জার লম বম, পাইংক্ষ্যং মৌজার হেডম্যান বয়তাং বম ও জেলা পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা জুড়ি মং মারমাসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার কর্মীরা।

চাইমং/ফয়সাল

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়