ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৮ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

শ্রমিক আন্দোলনে নিহত শ্রমিকের স্ত্রী পেলেন চাকরি 

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:২৫, ২৯ নভেম্বর ২০২৩   আপডেট: ২১:৪৪, ২৯ নভেম্বর ২০২৩
শ্রমিক আন্দোলনে নিহত শ্রমিকের স্ত্রী পেলেন চাকরি 

গাজীপুরের কোনাবাড়ীর জরুন এলাকায় শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত জালাল উদ্দিনের স্ত্রীকে চাকরি দিয়েছেন মাল্টিফ্যাবস লিমিটেড নামের একটি  পোশাক তৈরি কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক। বুধবার বিকালে নিহত শ্রমিক জালালের স্ত্রী নার্গিস পারভীনের হাতে নিয়োগপত্রটি তুলে দেন কারখানা কর্তৃপক্ষ।

এর আগে, গত ২১ নভেম্বর নিহত জালাল উদ্দিনের সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব নিয়ে প্রাথমিকভাবে খরচের জন্য দেড় লাখ টাকা নগদ সহায়তাও দিয়েছে কারখানাটি।

এদিন বিকালে গাজীপুরের কাশিমপুর নয়াপাড়ায় মাল্টিফ্যাবস লিমিটেড কারখানায় আসে নিহত শ্রমিক জালালের স্ত্রী নার্গিস পারভীন ও একমাত্র কন্যা সন্তান জান্নাতুল বাকিয়া মরিয়ম (৯)। সেখানে কারখানার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. আবু সেহাব তার হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলো দেন। যা আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর শুরু হবে। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কারখানার সহকারী ব্যবস্থাপক খন্দকার আহমাদুল করিম মান্না, সহকারী ব্যবস্থাপক মো. এনামুল করিম ও আব্বাস আলী শেখ প্রমুখ।

চাকরি পাওয়ার নার্গিস পারভীন বলেন, আমি মাল্টিফ্যাব কারখানার মালিকের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমার স্বামী অন্য কারখানায় চাকরি করতো। কিন্তু আমাকে অন্য একটি কারখানার মালিক ডেকে নিয়ে আমার সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেন। নগদ দেড় লাখ টাকাও দিয়েছিলেন। এবার তিনি আমাকে তাদের কারখানায় চাকরি দিয়েছেন। আমি এই চাকরিটাই চেয়েছিলাম। সেটি পাওয়াতে এখন আমি সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারবো।

কারখানার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. আবু সেহাব বলেন, নিহত শ্রমিক জালাল উদ্দিনের স্ত্রী নার্গিস পারভীনকে তাদের কারখানায় কল্যাণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি শ্রমিকদের দেখাশোনা করবেন। সাথে দুপুরের খাবার, চিকিৎসা সুবিধা, মোবাইল বিল ও যাতায়াত সুবিধা পাবেন। 

উল্লেখ্য, জালাল উদ্দিন (৪০) জরুন এলাকার ইসলাম গ্রুপের সুইং সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার বাঁশহাটি গ্রামের চান মিয়ার ছেলে। জরুন এলাকার ভাড়া বাসায় সপরিবার বসবাস করতেন। ৮ নভেম্বর বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনের সময় বাড়ি যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হন জালাল। এরপর তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ নভেম্বর দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মারা যান তিনি।

রেজাউল/এনএইচ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়