বগুড়ায় বিএনপির সাবেক এমপি জিয়াউল হক মোল্লাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
বগুড়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
বগুড়া-৪ আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মনোনয়ন উত্তোলন এবং জমা দিয়েছেন ওই আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ৪ বারের নির্বাচিত এমপি ডা. জিয়াউল হক মোল্লা।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) তিনি কাহালু উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. মেরিনা আফরোজের নিকট মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এ ঘটনার পর থেকেই স্থানীয় বিএনপি’র নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাকে জাতীয় বেইমান আখ্যা দিয়ে এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
সন্ধ্যার পর কাহালু উপজেলার নারহট্ট ইউনিয়ন ও জামগ্রাম ইউনিয়ন এবং নন্দীগ্রাম পৌর শহরে একাধিক স্থানে দলীয় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা জিয়াউল হক মোল্লার কুশপুত্তলিকায় জুতা দিয়ে পেটানোর পর আগুন লাগিয়ে দেয়।
জানা গেছে, জিয়াউল হক মোল্লার গ্রামের বাড়ি কাহালু উপজেলার দেওগ্রামে। তিনি বগুড়া শহরের মালতিনগরে বসবাস করেন। তার পিতা আজিজুল হক মোল্লা বগুড়া-৪ আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য ছিলেন। তার মৃত্যুর পর ১৯৯৪ সালে অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হয়ে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ডা. জিয়াউল হক মোল্লা। এরপর তিনি ১৯৯৬ সালের ৬ষ্ঠ ও ৭ম জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হয়ে তিনি নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনেও বিএনপির প্রার্থী হয়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ৮১৪ ভোট পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন জিয়াউল হক মোল্লা।
বগুড়া জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও বগুড়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন বলেন, জিয়াউল হক মোল্লা বিএনপি থেকে ৪ বার নির্বাচন করে এমপি হয়েছিলেন। সে সময় তিনি সমস্ত সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন। দল ক্ষমতায় থাকতে ক্ষমতা ব্যবহার করছে। গাড়ি-বাড়ি টাকা-পয়সা কামিয়েছেন। এরপরেও একাধিকবার দলের সাথে তিনি দলের সাথে বেইমানি করেছেন। ওয়ান ইলেভেনে জিয়াউল হক মোল্লার মতো কিছু নেতা দলের যে ক্ষতি করেছে, সেই খেসারত আজও বহন করছে বিএনপি। গোটা দেশবাসী যখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গণআন্দোলন করছে ঠিক সেই সময় আবারও জাতির সাথে বেইমানি করে জিয়াউল হক মোল্লা সরকারের সাথে হাত মেলালেন। তিনি মনে করেন, আওয়ামী লীগের ড্যামি প্রার্থী হিসেবে এই নেতা আ.লীগকে সহযোগিতা করছেন। কাহালু-নন্দীগ্রামবাসী ইতোমধ্যেই বেইমান এই নেতাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে।
এনাম/এনএইচ