ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৮ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বগুড়ায় পালাতে গিয়ে যুবদল নেতার মৃত্যুর অভিযোগ

বগুড়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৫৩, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩  
বগুড়ায় পালাতে গিয়ে যুবদল নেতার মৃত্যুর অভিযোগ

ফোরকান আলী

বগুড়ার শাজাহানপুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধাওয়া খেয়ে পালানোর সময় ফোরকান আলী নামে এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার ফটকি ব্রিজ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ফোরকান আলী উপজেলার খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের ঘাষিড়া সুফিপাড়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের বড় ছেলে। তিনি খোট্টাপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ছিলেন।

আরো পড়ুন:

খোঁজ জানা গেছে, আজ রোববার সকাল ৭টার দিকে অবরোধের সমর্থনে শাজাহানপুর উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন। মিছিলটি ফটকি ব্রিজ এলাকায় এলে র‌্যাবের একটি টহল গাড়ি তাদের দিকে এগিয়ে যায়। এ সময় মিছিলে থাকা নেতাকর্মীরা বিচ্ছিন্নভাবে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ফটকি ব্রিজ থেকে ফুলতলা যাওয়ার পথে খোট্টাপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ফোরকান আহত হন। পরে তাকে শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

এদিকে, এ ঘটনায় সকালে নিহত ফোরকান আলীর জামাতা তুহিনকে আটক করে পুলিশ। আটকের দুই ঘণ্টা পর তাকে থানা হাজত থেকে বাবার জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

তুহিনকে আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, সকালে ফটকি ব্রিজ এলাকায় ৮ থেকে ৯ জন ব্যক্তি মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পুলিশের গাড়ি দেখে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তুহিনকে আটক করা হয়। পরে তুহিন জানান তার শ্বশুর মারা গেছেন, এ কারণে তিনি এখানে এসেছেন। ঘটনা শোনার পর পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি এনামুল হক শাহীন জানান, আজ সকালে হরতালের সমর্থনে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক ফটকি ব্রিজ এলাকায় আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিল হঠাৎ পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এ সময় পুলিশ লাঠি চার্জ করে মিছিলটি ছত্র ভঙ্গ করে দেয়। তবে, ফোরকানের পরিবার থেকে মৃত্যুর বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো কিছু বলা হচ্ছে না। 

ফোরকানের ভাই ওমর ফারুক জানান, আমার ভাই সকালে তার কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। পথে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। কোনো মিছিলে অংশ নেওয়ার বিষয় জানি না।

জানতে চাইলে র‌্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার মীর মুনির হোসেন বলেন, এ ঘটনার কোনো সত্যতা নেই। ফোরকান স্ট্রোক করে মারা গেছেন। তারা যেখানে মিছিল করেছেন সেখানে পুলিশ বা র‌্যাবের কেউ যায়নি। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার বিন্দুমাত্র কোনো বিষয় নেই। তবে, বড় জোড় র‌্যাব-পুলিশের টহল গাড়ি থাকতে পারে। ফোরকানের ঘটনাকে রাজনৈতিক ফ্লেভার দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এনাম/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়