ঢাকা     শুক্রবার   ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ||  ফাল্গুন ২ ১৪৩১

রংপুরে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, শিক্ষকসহ আটক ১৯ 

রংপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:১৪, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩  
রংপুরে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, শিক্ষকসহ আটক ১৯ 

রংপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইসের মাধ্যমে উত্তর সরবরাহ চক্রের ১৯ সদস্যকে আটক করেছে রংপুর মহানগর পুলিশ।


শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে রংপুর মহানগরীর বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র ও এলাকা থেকে তাদের‌কে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৮০টি মোবাইল ফোন ও ছয়টি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বিটু এক্স ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষার্থীর প্রশ্নপত্রের উত্তর দেওয়ার চুক্তি করা হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী প্রস্তুতির প্রাক্কালে পরীক্ষার আগের রাতে ও সকালে রংপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে ১৯ জনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে রংপুর কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ তিনটি স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও একজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতাসহ পরীক্ষার্থী এবং ডিভাইস জালিয়াতি সিন্ডিকেটের সদস্যরা আছেন।

আটককৃতদের মধ্যে ১১জন পরীক্ষার্থী, যাদের মধ্যে আটজন নারী। বাকিরা কলেজশিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশার সঙ্গে জড়িত। আটক পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর আগেই পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে ডিভাইসসহ আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছে থেকে ১১টি ডিভাইস, ৮০টি ফোন ও প্রবেশপত্র জব্দ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘একটি অসাধু চক্র ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে এই জালিয়াতি কাজের সঙ্গে জড়িত। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ডিভাইস জালিয়াতি চক্রটিকে পরীক্ষার আগের রাতে, সকালে ও পরীক্ষা শুরুর আগেই কেন্দ্র থেকে আটক করেছে। তাদের আটকের ফলে পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস করতে পারেনি চক্রটি।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি ডিবি কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান, ডিসি ক্রাইম আবু মারুফ হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর রংপুর বিভাগের উপ-পরিচালক মুজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর রংপুর বিভাগের উপ-পরিচালক মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিভাগের ৮ জেলায় ২৯৭ কেন্দ্রে ২ লাখ ২ হাজার পরীক্ষার্থী প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক পরীক্ষায় অংশ নেয়। প্রশ্নপত্র ফাঁস বা পরীক্ষার্থীরা জালিয়াতির সুযোগ না পাওয়ায় নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের সম্ভাবনা নেই। গতকাল রাত থেকে প্রতিটি জেলায় আমাদের কর্মকর্তারাসহ প্রশাসন তৎপর ছিলো। যে কারণে জালিয়াতি করতে পারেনি কোন চক্র বা পরীক্ষার্থী।’

রংপুর ছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় গাইবান্ধা ৩৫, লালমনিরহাটে ১৩, দিনাজপুরে ১০, ঠাকুরগাঁও ৭ ও নীলফামারীতে জালিয়াত চক্রের ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকেও জব্দ করা হয়েছে ইলেকট্রনিক ডিভাইস, মোবাইল ও প্রশ্নপত্র।

আমিরুল/ফয়সাল


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়