ফরিদপুর-৩: আ.লীগের শামীমের প্রার্থিতা বাতিলে এ কে আজাদের আপিল
ফরিদপুর সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
শামীম হক ও এ কে আজাদ (ডানে)। ফাইল ছবি
ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম হক নেদারল্যান্ডসের নাগরিক, এমন অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) তার প্রার্থিতা বাতিলের জন্য আবেদন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) এ কে আজাদের পক্ষে তার আইনজীবী মো. গোলাম কিবরিয়া আপিল আবেদন জমা দেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী শামীম হক নেদারল্যান্ডসের নাগরিক।
তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের মনোনয়ন বাছাইয়ের সময় তথ্য উপাত্তসহ লিখিত অভিযোগ করা সত্ত্বেও রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম হকের মনোনয়নপত্র বাতিল না করে বৈধ ঘোষণা করেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার এই আদেশের বিরুদ্ধে আজ আপিল দায়ের করা হয়েছে।
আইনজীবী গোলাম কিবরিয়া বলেন, সম্প্রতি শামীম হক তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট ইস্যু করার জন্য ফরিদপুর পাসপোর্ট কার্যালয়ে দরখাস্ত দাখিল করেন। সেই দরখাস্তের ২৫ নং কলামে দ্বৈত নাগরিকত্বের ঘরে সে টিক মার্ক দিয়েছেন। ২৬ নং কলামে অন্য দেশের নাগরিক থাকলে সেই দেশের নামের জায়গায় নেদারল্যান্ডস উল্লেখ আছে।
শামীম হকের মনোনয়নপত্র বাতিলের জন্য যুক্তি হিসেবে তার নেদারল্যান্ডসের পাসপোর্টের ফটোকপি প্রমাণস্বরূপ উপস্থাপন করে আইনজীবী গোলাম কিবরিয়া বলেন, সংবিধানের ৬৬ (২) অনুচ্ছেদ এবং ১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২ (১) (৬) অনুচ্ছেদের বিধানমতে, শামীম হক একজন বিদেশি নাগরিক হওয়ায় তিনি সংসদ সদস্য পদে নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারে না। তিনি অযোগ্য প্রার্থী। এছাড়া, তিনি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (১২) (২) (ক) অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রদত্ত হলফনামায় এই বিষয়টি গোপন করায় তার ঘোষণাটি মিথ্যা ঘোষণা হিসেবে বিবেচিত হবে এবং সে কারণেও তার মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার কথা।
সংবিধানের ৬৬ (২) (গ) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার এবং সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য হবেন না, যদি তিনি কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করেন কিংবা কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার করেন। সংবিধানের ওই অনুচ্ছেদের অনুরূপ বিধানই গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২ (১) (৬) অনুচ্ছেদে সন্নিবেশিত হয়েছে।
তামিম/কেআই