বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ৫২তম শাহাদাৎ বার্ষিকী আজ
নোয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ৫২তম শাহাদাৎ বার্ষিকী আজ। দেশ স্বাধীনের মাত্র ৬ দিন আগে খুলনার রূপসায় সম্মুখ যুদ্ধে শহিদ হন এই বীর যোদ্ধা। শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে রোববার (১০ ডিসেম্বর) তার গ্রামের বাড়িতে বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ মো. রুহুল আমিন স্মৃতি যাদুঘর এবং জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য যে সাত জন বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা বর্তমানে সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের বাগপাঁচড়া গ্রামের রুহুল আমিন একজন।
বর্তমানে গ্রামটির নাম শহীদ রুহুল আমিন নগর রাখা হয়েছে। ১৯৩৪ সালে বাগপাঁচড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন রুহুল আমিন। মাতা জুলেখা খাতুন ও পিতা মোহাম্মদ আজাহার পাটোয়ারী। তিন ছেলে ও চার মেয়ে নিয়ে ছিল তাদের সংসার।
রুহুল আমিন শিক্ষা জীবন শুরু করেন বাগপাঁচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এরপর ভর্তি হন আমিশাপাড়া কৃষক উচ্চ বিদ্যালয়ে। ১৯৫১ সালে নৌবাহিনীতে নায়েক হিসেবে চাকরি জীবন শুরু করেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। মুক্তিযুদ্ধে ২নং সেক্টরে যুদ্ধরত রুহুল আমিন ছিলেন নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘পলাশ’র প্রধান ইঞ্জিনরুমে আর্টিফিসার।
চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র ৬ দিন পূর্বে ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখে খুলনা শিপইয়ার্ডের কাছে অধিনায়কের জাহাজ ত্যাগের নির্দেশ অমান্য করে রূপসা নদীতে বাংলাদেশের যুদ্ধজাহাজ পলাশকে রক্ষা করতে গিয়ে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর নিক্ষিপ্ত গোলায় এ বীর শহিদ হন। মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকা ও মহান আত্মত্যাগের জন্য তাকে স্বীকৃতি স্বরূপ সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত করা হয়।
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের দুই ছেলে ও তিন মেয়ে সহ পাঁচ সন্তান। বড় ছেলে বাহার ২৫ বছর আগে মারা যান। তার পরিবারের লোকজন সিলেটে বসবাস করছে বলে জানা যায়। ছোট ছেলে শওকত আলী ও তিন মেয়ে নূরজাহান বেগম, রিজিয়া বেগম ও ফাতেমা বেগম। এর মধ্যে, তিন মেয়ে সবাই স্বামী-সন্তান নিয়ে চট্টগ্রামে সরকারের বরাদ্দ দেয়া বাড়িতে বসবাস করছেন। একমাত্র ছোট ছেলে শওকত ও তার স্ত্রী-মেয়ে নোয়াখালীর গ্রামে বাড়িতে থাকেন।
সুজন/কেআই