ঢাকা     রোববার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

রমজানে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়বে না: খাদ্যমন্ত্রী

ঝিনাইদহ সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৫৭, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ২২:০৩, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
রমজানে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়বে না: খাদ্যমন্ত্রী

‘পাকা মেমো ছাড়া মিল গেটে চাল বিক্রি করা যাবে না। করলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অবৈধ মজুদকারীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা। সরকার পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বদ্ধ পরিকর।’

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে তিনটায় ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে ‘চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে করণীয়’বিষয়ে অংশীজনদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাখাওয়াত হোসেন। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন- এমপি আব্দুল হাই, জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন।

তিনি আরও বলেন, মিনিকেট বলে কোনো চাল নেই। এটা মিল মালিকদের সৃষ্টি। রমজানে ভোগ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার কাজ করছে। কোনোভাবেই যেন দাম বৃদ্ধি হতে বা কেউ করতে না পারে সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।

মন্ত্রী সভায় উপস্থিত চালকল মালিকদের বলেন, ধান মজুদ করার কোনো সুযোগ নেই। ধান গোডাউনে ঢুকবে, ধান বেরিয়ে যাবে। ঝিনাইদহে যে প্রতি কেজি চালে ২টাকা করে বেড়েছে তা কোনো মিল মালিক স্বীকার করেন না। বরং আমিই বলেছি যে, কুষ্টিয়া থেকে এই চালের দাম বেড়েছে। তারা এই মিটিং-এ বলে গেছে যে, কোনোভাবেই দাম আর বাড়বে না। আমরা আপনাদের সহযোগিতা করবো। তাদেরকে অনেক বিবেক জাগ্রত করার কথা বলে বলা হয়েছে দাম বাড়াবেন না। তারা বলেছে চালের দাম কমাবে। তারা দাম কমাক না কমাক আমি ডিসি, ভোক্তা অধিকার, মার্কেটিং কর্মকর্তাকে বলে দিচ্ছি তারা যদি মনিটরিং করে একদিন একসাথে মার্কেটে নামেন এবং এ বিষয়ে কোনো ব্যত্যয় পান কঠোরভাবে মোবাইল কোর্ট করতে থাকেন। যদিও আমরা চাই না মোবাইল কোর্ট করে কাউকে অপমান করি। যদি আমাদের কেউ বাধ্য করায় তবে মোবাইল কোর্ট হবে। ব্যবসায়ীদের সচেতন হওয়ার সবধরনের উপদেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি রমজানে পণ্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে বলেন, রমজানে ব্যবহৃত যে দৈনন্দিন ভোগ্যপণ্য রয়েছে যেমন- ছোলা, খেজুর, চিনিসহ অন্যান্য জিনিসের দামের প্রেক্ষিতে গতবার যে এলসি খোলা হয়েছে তার থেকে অনেক বেশি এলসি এবার খোলা হয়েছে। সুতরাং রমজানে দাম বাড়ার কথা না। যদি দাম বাড়ে তবে প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা এক বছর চাল আমদানি করিনি। এখনও যে পরিমাণ চাল আছে তাতে করে এখনও চাল আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই। সরকারিভাবে আমরা চাল আমদানি করছি না। বেসরকারিভাবে আমদানির জন্য ট্যাক্স জিরো করে অনুমতি দিয়ে রাখবো। যাতে কোনো ম্যাসাকার না হয় তার জন্য একটি পথ খোলা থাকলো।

শাহরিয়ার/ফয়সাল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়