ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ৩০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

রাজশাহীতে দুষ্প্রাপ্য ডাকটিকিটের প্রদর্শনী

রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:১৩, ৫ মে ২০২৪  
রাজশাহীতে দুষ্প্রাপ্য ডাকটিকিটের প্রদর্শনী

প্রদর্শনীতে ডাকটিকিট দেখছেন কয়েকজন দর্শনার্থী

রাজশাহীতে দুই দিনব্যাপী দুষ্প্রাপ্য ডাকটিকিটের প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। বরেন্দ্র ফিলাটেলিক সোসাইটি নামের একটি সংগঠন মহানগরীর একটি রেস্তোরাঁয় ‘বরেন্দ্রপেক্স-২০২৪’ নামের এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। রোববার (৫ মে) সকালে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার। 

প্রদর্শনীতে দুষ্প্রাপ্য ডাকটিকিট যেমন প্রদর্শন করা হচ্ছে, তেমনি তা কেনারও সুযোগ রয়েছে। প্রদর্শনীর স্থান থেকেই রয়েছে চিঠি পোস্ট করার সুযোগ। এজন্য ডাকবিভাগ একটি অস্থায়ী পোস্ট অফিস করেছে। অনুষ্ঠান উপলক্ষে ডাকবিভাগ ‘বরেন্দ্রপেক্স-২০২৪’ নামে দুইদিনের জন্য বিশেষ একটি খামও এনেছে। এছাড়া, ডাকবিভাগের পক্ষ থেকে দুটি সিলমোহর দেওয়া হয়েছে অনুষ্ঠান উপলক্ষে। আগামীকাল সোমবার (৬ মে) প্রদর্শনী শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

এই প্রদর্শনীতে সারাদেশের বাছাই করা ২৫ জন ডাকটিকিটের সংগ্রাহক তাদের সংগ্রহ প্রদর্শন করছেন। পাশাপাশি তারা ডাকটিকিট বিক্রিও করছেন। প্রদর্শনীতে পাকিস্তান আমল থেকে বর্তমান সময়ের সব ডাকটিকিটই রয়েছে। বিশ্বের নানা দেশের দুষ্প্রাপ্য ডাকটিকিটও প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। দেয়ালে দেয়ালে প্রদর্শন করা হচ্ছে অনেক পুরনো চিঠির খামও। বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ঘুরে ঘুরে এসব দেখছেন।

ঢাকার উত্তরা থেকে প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন ডাকটিকিটের সংগ্রাহক কাজী মাহবুবুর রহমান। স্বাধীনতার আগে বাংলাদেশকে নিয়ে যে ৮টি ডাকটিকিট ছাপানো হয়েছিল তা রয়েছে মাহবুবুর রহমানের কাছে। ওই ডাকটিকিটগুলো ছাপানো হয়েছিল রুপির হিসাবে। ১০ পয়সা, ২০ পয়সা, ৫০ পয়সা, ১ রুপি, ২ রুপি, ৩ রুপি, ৫ রুপি ও ১০ রুপির ডাকটিকিটগুলোর কোনটিতে কোন বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তা দর্শনার্থীদের বর্ণনা করে জানাচ্ছিলেন তিনি।

কাজী মাহবুবুর রহমানের পাশেই ডাকটিকিট নিয়ে বসেছেন সাতক্ষীরার আহসান-আল-আমিন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ডাকটিকিট বের করে দেখালেন। এটি ২০ পয়সার। ডাকটিকিটের ওপরে উড়ছে ৬টি পায়রা। ডাকবিভাগের অস্থায়ী পোস্ট অফিসে বর্তমান সময়ে প্রচলিত ডাকটিকিটগুলো প্রদর্শন করছে। সেখানে ডাকটিকিট বিক্রিও করা হচ্ছে।

অস্থায়ী পোস্ট অফিসেই একটি ডাকবক্সও রাখা হয়েছে। বরেন্দ্রপেক্স খামে ৫ টাকার ডাকটিকিট দিয়ে সেখানে চিঠি পোস্ট করছিলেন অনেকে। এছাড়া, ৮ টাকার ডাকটিকিটে রেজিস্ট্রি করে এবং দ্রুত চিঠি পৌঁছাতে ১০ টাকার ডাকটিকিট দিয়ে জিইপি চিঠি পাঠাচ্ছিলেন অনেকে। রোববার প্রথম এক ঘণ্টায় ৩০টি জিইপি ও ৮টি রেজিস্ট্রি করা চিঠি জমা হয় পোস্ট অফিসে।

বরেন্দ্র ফিলাটেলিক সোসাইটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন্ত কুমার বলেন, ‘আমরা যারা এখন প্রবীণ, তাদের শৈশবের স্মৃতি এই ডাকটিকিট। মোবাইল ফোন আর ইন্টারনেটের যুগে এগুলো এখন স্মৃতি। সেই স্মৃতিময় ইতিহাস নতুন প্রজন্মের সামনে আনতে আমাদের এ আয়োজন।’

কেয়া/মাসুদ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়