ঢাকা     রোববার   ১৯ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

হবিগঞ্জে উৎপাদন হচ্ছে ১১ শতাংশ কুচিয়া

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৪৬, ৭ মে ২০২৪  
হবিগঞ্জে উৎপাদন হচ্ছে ১১ শতাংশ কুচিয়া

দেশে রপ্তানিযোগ্য মাছ ‘কুচিয়া’ উৎপাদনের ১১ শতাংশই জন্মে হবিগঞ্জ জেলার হাওরে। আন্তর্জাতিক বাজারে যার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা।

মঙ্গলবার (৭ মে) হবিগঞ্জে কুচিয়া মাছ আহরণ ও মজুদকরণ শীর্ষক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ফিশারি প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (এফপিবিপিসি) ও বাংলাদেশ লাইভ অ্যান্ড চিল্ড ফুড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিএলসিএফইএ) এ কর্মশালা আয়োজন করে।

কর্মশালায় সুস্থ-সবল কুচিয়া আহরণ, মজুদ ও বাজারজাতকরণের ব্যাপারে মৎস্যজীবীদের বিজ্ঞানভিত্তিক ধারণা দেওয়া হয়। এসময় মৎস্যজীবীরা বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরলে তা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়।

কর্মশালায় জানানো হয় যে, গত অর্থবছরে সারাদেশে ৯ হাজার ৪৮৮ কেজি কুচিয়া উৎপাদন হয়েছিল। যা থেকে ২ হাজার ৮৭২ মেট্রিক টন রপ্তানি হয় চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে।

গেল অর্থবছরে হবিগঞ্জ জেলায় কুচিয়া উৎপাদন হয় ৯৭৮ মেট্রিক টন। যা সারাদেশে মোট উৎপাদনের ১১ শতাংশেরও বেশি। ৪৬০ টাকা কেজি দরে এসবের বাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা।

সাধারণত জলাশয়ে চাষ ও প্রাকৃতিক উপায়ে কুচিয়া উৎপাদন করা হয়। তবে হবিগঞ্জের পুরোটাই আসে প্রাকৃতিক উৎস অর্থাৎ হাওর থেকে। এখানকার জেলেরা বরশি, কাদায় হাত ও ট্রাপ পদ্ধতিকে কুচিয়া শিকারে পারাদর্শী।

হবিগঞ্জে কুচিয়া উৎপাদনের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে বন্ধ হয়ে যাওয়া কুচিয়া ও কাঁকড়া চাষ সংক্রান্ত প্রকল্পটি চালু করা প্রয়োজন।

হবিগঞ্জে কুচিয়া মাছ আহরণ ও মজুদকরণ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট মৎস্য অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন এবং বাংলাদেশ লাইভ অ্যান্ড চিল্ড ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব কাজী মাহাবুবুল আলম আজাদ।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওয়াহিদুর রহমান মজুমদার কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। নবীগঞ্জ ও বানিয়াচং উপজেলার ৫০ জন কুচিয়া আহরণকারী এবং আড়ৎদার এই কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন।

মামুন/ফয়সাল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়