রাজশাহীর কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে নির্বাচনী সরঞ্জাম 

রাজশাহীর দুই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের জন্য কেন্দ্রে কেন্দ্রে উপকরণসামগ্রী পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মে) বেলা ১১টা থেকে তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলায় ব্যালট বাক্সসহ অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। তবে ব্যালট পেপার পৌঁছাবে ভোটের দিন।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রিসাইডিং কর্মকর্তার উপস্থিতিতে নির্ধারিত কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের জিম্মায় ভোটগ্রহণের বিভিন্ন উপকরণ দেওয়া হয়েছে। তারা এসব মালামাল নিয়ে নিজ নিজ ভোটকেন্দ্রে গেছেন। 

এ দুই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, প্রথম ধাপের জেলার গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ ও তানোর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ১৬৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে ১৫৫টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বা গুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যেক কেন্দ্রে ৪ জন পুলিশ ও ১৬ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। 

নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গোদাগাড়ী উপজেলায় ৫ প্লাটুন ও তানোর উপজেলার ২ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন থাকবে। দুই উপজেলায় ১৭ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হবে। এর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে র‌্যাব ও পুলিশের টহল টিম সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে।

গোদাগাড়ী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই উপজেলায় মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১০৭টি, ভোট কক্ষ ৭১৫টি এবং মোট ভোটার ২ লাখ ৮১ হাজার ১৬০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৪১ হাজার ৮৭০ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৩৯ হাজার ২৮৯ জন এবং হিজড়া জনগোষ্ঠীর ভোটার সংখ্যা ১ জন।

তানোর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই উপজেলায় মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৬১টি, ভোটকক্ষ ৪২৫টি এবং মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৬৬ হাজার ১৭৩ জন। উপজেলার মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮১ হাজার ৯৭ জন ও নারী ভোটার সংখ্যা ৮৪ হাজার ২৬৬ জন।

বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। 

মঙ্গলবার (৭ মে) বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রথম ধাপে দেশের ৫৯টি জেলার ১৪১টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০ হাজার ৬০৫টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ করা হবে। চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তবে হাতিয়া, মুন্সিগঞ্জসদর, বাগেরহাট সদর, পরশুরাম ও শিবচর এই পাঁচ উপজেলার সব পদের প্রার্থীরা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। অর্থাৎ এই পাঁচ উপজেলায় কোনো পদে ভোটের প্রয়োজন পড়ছে না। এ ছাড়া পার্বত্য জেলা বান্দরবানে তিনটিসহ পাঁচ উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করেছে ইসি।