ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

মাহারা শিশুর কান্নায় ভারী হাসপাতালের পরিবেশ, খোঁজ নেই পরিবারের 

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৫০, ১১ মে ২০২৪   আপডেট: ২১:৫৪, ১১ মে ২০২৪
মাহারা শিশুর কান্নায় ভারী হাসপাতালের পরিবেশ, খোঁজ নেই পরিবারের 

হাসপাতালের ওয়ার্ডে থাকা রোগীর স্বজনরা শিশুটির কান্না থামানোর চেষ্টা করছেন

গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত এক মা ও তার ছেলে শিশুকে ভর্তি করা হয় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ভর্তির পরদিন মায়ের মৃত্যু হলেও চিকিৎসাধীন শিশুটি। আহত ওই শিশুর কান্না যেনো থামছেই না। তার করা মা মা চিৎকারে ভারী হয়ে উঠেছে হাসপাতালের শিশু বিভাগ।

এদিকে, গত দুইদিন ধরে শিশুর স্বজনদের খুঁজছে পুলিশ। শিশুর কান্নার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরালও হয়েছে। সবাই শিশুটির পরিচয় জানতে ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে পোষ্ট করছেন।

আরো পড়ুন:

শনিবার (১১ মে) বিকেলে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, ভর্তি থাকা আনুমানিক এক বছর বয়সী ছেলে শিশুটি অনবরত কান্না করছে। ওয়ার্ডে থাকা অন্য রোগীর স্বজনরা শিশুটির কান্না থামানোর চেষ্টা করছিলেন। শিশুটি একজনের কোল থেকে অন্যজনের কোলে গেলেও তার কান্না থামছিল না।

ভালুকা ভরাডোবা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ৩টার দিকে স্কয়ার মাস্টার বাড়ি এলাকায় ওই শিশু ও তার মা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। কিভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, তা জানা যায়নি। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে পুলিশ ওই শিশু ও তার মাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ভালুকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শুনেছি, ওই শিশুর মা মারা গেছেন।  এখনো তার পরিচয় মেলেনি। 

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে হাসপাতালে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য তারিকুল ইসলাম ওই শিশু ও তার মাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এবিষয়ে তারিকুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে আনা হয় আহত শিশু ও তার মাকে। সঙ্গে কেউ না থাকায় আমি শিশুটিকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ও শিশুর মাকে হাসপাতালের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করি। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ৩০ বছর বয়সী ওই নারী মারা যান। তবে, শিশুটি এখনো হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি আছে। মারা যাওয়া নারীর পরিচয় এখনো মেলেনি। মরদেহ লাশ ঘরে রাখা হয়েছে। 

শিশুটি মাথায় আঘাত পেয়েছে, তাকে সব ধরনের সেবা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে চিকিৎসক ফারজানা আক্তার বলেন, ‘বাচ্চাটিকে ওয়ার্ডের অন্যরোগীর স্বজনরা দেখভাল করছেন। শিশুটি অনেক কান্না করছে। দ্রুত স্বজনদের পাওয়া গেলে শিশুটির জন্য ভালো হবে।

মিলন/মাসুদ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়