ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

রেমাল মোকাবিলায় প্রস্তুত মোংলা বন্দর, খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ

বাগেরহাট প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:১৬, ২৫ মে ২০২৪   আপডেট: ২০:১৯, ২৫ মে ২০২৪
রেমাল মোকাবিলায় প্রস্তুত মোংলা বন্দর, খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ

ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ নানা প্রস্তুতি নিয়েছে। বন্দরে অবস্থানরত সব জাহাজ নিরাপদ স্থানে নোঙ্গর করা হয়েছে। দুর্যোগকালীন সময়ে যেকোনো সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে নিয়ন্ত্রণকক্ষ চালু করা হয়েছে।

শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের জনসংযোগ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম মনির বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে এখন পর্যন্ত মোংলা বন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে সেটির প্রভাব মোকাবিলায় বন্দরে নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বন্দর ও বন্দর সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ সব ব্যক্তিদের কর্মস্থলে অবস্থান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সতর্ক সংকেত ৪ নম্বরের পর থেকে মোংলা বন্দরের সব প্রকার অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ রাখা হবে। 

আরো পড়ুন:

তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়ায় চারটি জাহাজ, বেসক্রিক এরিয়ায় একটি ও বন্দর জেটিতে দুটি জাহাজ রয়েছে। বাণিজ্যিক সব জাহাজসমূহকে জেটির পার্শ্ব ত্যাগ করে চ্যানেলের বিভিন্ন পয়েন্টে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করে নোঙ্গর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মোংলা বন্দরের নিজস্ব জলযানসমূহকে নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বন্দরের জেটি এলাকার অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার ও অন্যান্য কার্গোসমূহকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব থেকে রক্ষা করতে সিঙ্গেল টায়ারে সুশৃঙ্খলভাবে সাজিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। কার্গো হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্টগুলোকে ইয়ার্ডে সঠিকভাবে বেঁধে রাখা হয়েছে। 

এই কর্মকর্তা বলেন, বন্দরের আবাসিক এলাকাগুলোতে বসবাসরতদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও জরুরি সেবার জন্য আলাদা আলাদা উপ-নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। বন্দরের অভ্যন্তরে অন্যান্য এলাকায় বসবাসরত সব ব্যক্তিবর্গকে মোংলা বন্দরের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্থানান্তরের বিষয়ে সাইক্লোন সেল্টার (ধারণ ক্ষমতা ১০০০ জনের) হিসাবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তত করা হয়েছে।

মনিরুল ইসলাম মনির বলেন, ঝড়ের সময় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মেডিক্যাল টিম ও নিরাপত্তা বিভাগ কর্তৃক রেসকিউ টিম গঠন করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে কোনো নৌযান ডুবে গেলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে দ্রুত অপসারণের জন্য কয়েকটি স্যালভেজ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করা আছে। প্রয়োজনে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের উদ্ধার জলযানের সহযোগিতা গ্রহণ করা হবে। ঘূর্ণিঝড়  চলাকালীন মুরিং বয়ায় থাকা জলযানগুলোকে মবকের টাগ বোট (উদ্ধারকারী জলযান) সহযোগিতা করবে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর জন্য প্রস্তুতি হিসেবে নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড ও সংশ্লিষ্ট বন্দর ব্যবহারকারীদের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে।

শহিদুল/মাসুদ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়