ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

দিনাজপুরে দর্জিপাড়ায় নেই কর্মব্যস্ততা

দিনাজপুর প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫৯, ১১ জুন ২০২৪   আপডেট: ১০:১৮, ১১ জুন ২০২৪
দিনাজপুরে দর্জিপাড়ায় নেই কর্মব্যস্ততা

আর মাত্র কয়েকদিন পরই কোরবানির ঈদ। ঈদকে সামনে রেখে কাস্টমারদের দেওয়া নতুন কাপড়ের পোশাক তৈরিতে দিন-রাত ব্যস্ত সময় পার করার কথা থাকলেও এবারের দিনাজপুরে দর্জিপাড়ার চিত্র একেবারেই ভিন্ন। টেইলার্সে নেই তেমন কাজের অর্ডার। ফলে কারখানাগুলোর কারিগররা একপ্রকার অলস সময় পার করছেন।

দর্জিরা জানান, সঠিক সময়ে ধান বিক্রির টাকা না পাওয়ায় কৃষক পরিবারগুলো কেনাকাটা করতে পারেনি। ফলে তারা নতুন কাপড়ের পোশাক তৈরির অর্ডারও দেননি। 

জেলার বিভিন্ন শহরসহ বিভিন্ন গ্রামগঞ্জের হাট ও বাজারের দর্জি দোকান ও কারখানা ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানে সেলাই কাজের অর্ডার পাচ্ছেন কারিগররা, তবে তা অনেক কম। ঈদের কয়েকদিন বাকি থাকলেও এখনও অর্ডার নেওয়া বন্ধ করেননি টেইলার্স মালিকরা। হয়তো ঈদের দুই একদিন আগ পর্যন্ত কাজের অর্ডার নেবেন তারা। অর্ডার কম পাওয়ায় হতাশ টেইলার্স মালিকসহ কারখানার কারিগররা।

হিলি বাজারের মাহি টেইলার্সের কারিগর রাজু ও রিয়াজ রাইজিংবিডিকে বলেন, গত কোরবানির ঈদ যে পরিমাণ কাজ করেছি, এবছর কোরবানি ঈদে তেমন কাজের অর্ডার নেই। গত রোজার ঈদেও ভালই কাজকাম পেয়েছি। আর কয়েকদিন পর ঈদ, কাজের চাপ নেই। 

হিলি বাজারের বোরখা হাউজের কারিগররা জানান, হাতে তেমন কাজ নেই। প্রতি ঈদে দিনে ৭-৮টি কাপড় সেলাইয়ের অর্ডার থাকে, এবার সেরকম অর্ডার পাচ্ছি না। আগের ঈদগুলোতে দিন ৮০০ থেকে ১০০০ টাকার কাজ করেছি। এবারের ঈদে কাজ হচ্ছে দিন ৪০০ থেকে সাড়ে ৪০০ টাকার।

বোরখা হাউজের টেইলার্সের মালিক ও কাটিং মাস্টার বাদশা বলেন, কৃষকের হাতের অবস্থা ভাল না। আমাদের এলাকা কৃষির ওপর নির্ভরশীল। কৃষক ধানের দাম পাচ্ছেন না। এখন ধানের মৌসুম চলছে, ধান বিক্রি করে তারা ঈদ করবেন। ধানের দাম ভাল না পাওয়ায় তারা বিপাকে। আমার এখানে বেশির ভাগ বোরখা ও পাঞ্জাবির কাজ হয়ে থাকে। আমার কারখানায় ১০ জন কারিগর কাজ করেন। এখন এসব কারিগরদের তেমন কাজ দিতে পারছি না। 

খান টেইলার্সের কাটিং মাস্টার রবিউল ইসলাম বলেন, গত রমজানের ঈদের চেয়ে এবার কাজের অর্ডার কম। তারপর লোডশেডিং হচ্ছে। আমার দোকানে সব ডিজিটাল মেশিন। বিদ্যুৎ না থাকলে এসব মেশিন বন্ধ থাকে। এখন সেই আগের পা চালিত সেলাই মেশিন দিয়ে কারিগররা কাজ করছেন। 

তিনি আরও বলেন, প্রতিবছর ঈদের ১৫ থেকে ২০ দিন আগে কাজের অর্ডার বন্ধ করে দিতাম। এবার যে অবস্থা তাতে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত কাজের অর্ডার নেওয়া যাবে।

মোসলেম/ইমন

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়