বেনজীরের সাভানা পার্কে ১০ দিনে আয় ৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকা

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানায় থাকা গোপালগঞ্জের সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যন্ড ন্যাচারাল পার্ক থেকে গত ১০ দিনে ৭ লাখ ৫৬ হাজার ৮৬৬ টাকা আয় হয়েছে। এখান থেকে সব ব্যয় মেটানোর পর ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৪২৯ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করেছেন পার্কটির তদারকি কমিটির সদস্যরা।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকালে দুর্নীতি দমন কমিশন গোপালগঞ্জের উপ-পরিচালক ও তদারকি কমিটির সদস্য সচিব মো. মশিউর রহমান এ তথ্য জানান।

আরও পড়ুন: বেনজীরের সাভানা পার্কে ৬ দিনে আয় সোয়া ৩ লাখ টাকা 

মশিউর রহমান জানান, গত শনিবার (১৫ জুন) থেকে জেলা প্রশাসনের তত্ত্ববধানে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যন্ড ন্যাচারাল পার্ক চালু হয়। এরপর থেকে গতকাল সোমবার (২৪ জুন) পর্যন্ত ১০ দিনে পার্কে আসা দর্শনার্থী প্রবেশ, রাইড ফি ও অন্যান্য খাত থেকে ৫ লাখ ৩৪ হাজার ৯৩০ টাকা, পার্কের গাছের আম বিক্রি থেকে ৪৮ হাজার ২১৬ টাকা, ধান বিক্রি থেকে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৭২০ টাকা ও কাশফুল (বন) বিক্রি বাবদ ২০ হাজার টাকা আয় হয়। মোট আয় হয় ৭ লাখ ৫৬ হাজার ৮৬৬ টাকা।

 আয় হওয়া টাকা থেকে পার্ক পরিচালনা করেত বেতন, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য খাতে খরচ করা হয়েছে ৬৯ হাজার ৪৩৭ টাকা। যা থেকে পার্কের নিট আয় হয়েছে ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৪২৯ টাকা। নিট আয়ের টাকা তদারকি কমিটির আহ্বায়ক জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলমের ব্যবস্থাপনায় খোলা ব্যাংক হিসাবে জমা দেওয়া হয়েছে।

আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক সাভানা পার্ক জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় তদারকি কমিটি গত শুক্রবার (১৪ জুন) সকাল ৮টা থেকে সর্বসাধারণের খুলে দেয়। ওই দিন সকাল থেকে আগের মতো ১০০ টাকা গেট ফি দিয়ে পার্কের ভিতরে প্রবেশ করেন দর্শনার্থীরা। গত ৪ জুন সার্ভার জটিলতা দেখিয়ে সাময়িকভাবে পার্কটি বন্ধ করে দেয় পার্ক কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে পার্কটি বন্ধ ছিল। 

গত ৭ জুন রাতে আদালতের নির্দেশে রিসিভার নিয়োগ করে পার্কটি নিয়ন্ত্রণ নেয় জেলা প্রশাসন। ১৩ জুন পার্কটি রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সার্বিক তদারকির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক ও গোপালগঞ্জ দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালককে সদস্য সচিব করে ৬ সদস্যের তদারকি কমিটি গঠন করে দুর্নীতি দমন কমিশন।