ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

জাহাজের ধাক্কায় বছরখানেক আগে ভেঙে পড়ে ব্রিজ, এখনও দুর্ভোগ 

পিরোজপুর সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩৮, ১২ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ১১:৫৮, ১২ জুলাই ২০২৪
জাহাজের ধাক্কায় বছরখানেক আগে ভেঙে পড়ে ব্রিজ, এখনও দুর্ভোগ 

বালুর জাহাজের ধাক্কায় পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার পশ্চিম ফুলজুরি হাওলাদার বাড়ি ও তুষখালী জমাদ্দার বাড়ির সংলগ্ন খালের ওপর নির্মিত ব্রিজটি বছরখানেক আগে ভেঙে পড়ে। সে থেকেই এই ব্রিজ ব্যবহারকারীরা অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। 

দীর্ঘদিনেও ব্রিজটি পুনঃনির্মাণ না হওয়ায় মঠবাড়িয়া বাজার, গুদিঘাটা বাজার, তুষখালী বাজার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াতকারী কয়েকটি গ্রামের মানুষ ও শিক্ষার্থীরা চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এদেরকে বিকল্প পথে  ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) মঠবাড়িয়া উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে ২৩ বছর আগে ব্রিজটি নির্মিত হয়েছিল। বছর খানেক আগে বালুর জাহাজ চলাচলের সময় ধাক্কা লাগে ব্রিজের পিলারের ক্ষতি হলে ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। এতে এলাকার কয়েকটি গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র পথ বন্ধ হয়ে যায়।

পরবর্তীতে গ্রামের বাসিন্দা ও পিরোজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্যের উদ্যোগে ব্রিজটির পাশে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে পারাপারের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু বর্তমানে সেটিও নড়বড়ে হয়ে পড়ায় পায়ে হেঁটে চলা ছাড়া অন্য কোন যানবাহন চলতে পারছে না। অন্যদিকে তুষখালীসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ উপজেলার বৃহৎ ব্যবসা কেন্দ্র মঠবাড়ীয়া হাটে কৃষিপণ্যসহ ব্যবসায়িক মালামাল নিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এছাড়া জরুরী রোগীসহ শিক্ষার্থীদেরও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এভাবে ঝুঁকি নিয়ে খাল পার হচ্ছেন দুই গ্রামের অন্তত ১০ হাজার মানুষ।

ধানিসাফা এলাকার বাসিন্দা তারেক হাওলাদার জানান, ২৩ বছর আগের নির্মাণ করা সেতুটি গত বছর পুরোপুরি ভেঙে খালে পড়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম ছিলো ব্রিজটি। একটি বাঁশের সাঁকো করা হয়েছে, এটা চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।  

তুষখালী ইউনিয়ন তোফেল আকল মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কবির হোসেন বলেন, এ ব্রিজ পার হয়ে খালের ওপারের শিক্ষার্থীরা এপারের একটি কলেজ, দুটি হাইস্কুল, দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় পড়াশুনা করে। কিন্তু নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোয় তাদেরকে ঝুঁকি নিয়ে খাল পার হতে হয়।

এলজিইডির মঠবাড়ীয়া উপজেলার প্রকৌশলী জিয়ারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করি, দ্রুত এই ব্রিজটির প্রাক্কলন তৈরি করে অনুমোদনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। অনুমোদন ও অর্থ বরাদ্দ পেলে এখানে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।

তাওহিদুল/টিপু

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়