বগুড়ায় বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এমডিসহ ১৯৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা
বগুড়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
আহম্মেদ আকবর সোবহান এবং সায়েম সোবহান আনভীর
বগুড়ার শিবগঞ্জে ছাত্র-জনতার মিছিলে মুসফিকুর রহমান নামের এক যুবককে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহম্মেদ আকবর সোবহান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরসহ ৪৬ জনের নামে মামলা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ১৫০ জনকে।
গত বুধবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুকান্ত সাহার আদালতে মামলাটি করেন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সামিউল আলিম। বিচারক শিবগঞ্জ থানার ওসিকে মামলাটি নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় ১ থেকে ৮ নম্বর ব্যক্তিদের হুকুমের আসামি করা হয়েছে। এই ব্যক্তিদের মধ্যে বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক, এমডিসহ কয়েকজন অব্যাহতিপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা এবং একজন সাংবাদিক রয়েছেন। তারা হলেন- ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও বিডিআর বিদ্রোহ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এবং সিআইডির সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি আবদুল কাহার আকন্দ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজি মনিরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশিদ, অতিরিক্ত ডিআইজি মিজানুর রহমান এবং একাত্তর টেলিভিশনের সাবেক বার্তা সম্পাদক শাকিল আহমেদ।
মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক সাব রেজিস্ট্রার শাহ আলম ও তার স্ত্রী (সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও স্থানীয় বিএনপির সাবেক নেত্রী) বিউটি বেগম, শিবগঞ্জের সাবেক ইউএনও লুৎফর রহমান, শিবগঞ্জ উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ বিপুলসহ আরও অনেকে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট বিকেলে ছাত্র-জনতার মিছিল শিবগঞ্জ উপজেলা সদরের নাগরবন্দরের দিকে যাওয়ার সময় হুকুমের আসামিদের নির্দেশে সাবরেজিস্ট্রার শাহ আলম ও তার স্ত্রী বিউটি বেগমের নেতৃত্বে আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করে। এ সময় তারা ককটেল বিস্ফোরণের পাশাপাশি গুলিবর্ষণও করেন। একপর্যায়ে শাহ নেওয়াজ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করলে মুসফিকুর রহমান গুলিবিদ্ধ হন।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, আদালতের নির্দেশে মামলার কপি গ্রহণ করেছি। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এনাম/মাসুদ