ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

নওগাঁয় বালু মহাল নিয়ে দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে ভোগান্তিতে কৃষক

নওগাঁ সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১৮, ২ নভেম্বর ২০২৪  
নওগাঁয় বালু মহাল নিয়ে দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে ভোগান্তিতে কৃষক

নওগাঁর মহাদেবপুরে আত্রাই নদীর বালু মহাল নিয়ে দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে সরকারি রাস্তার কালভার্ট, ব্রিজ ভাঙচুর ও একাধিক স্থানে খনন করে রাস্তা নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে। এতে ফসলের মাঠে যেতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। কৃষি পণ্য আনা-নেওয়া ও  ফসলের পরিচর্যায় বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন। তবে এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

বিপদে পড়া কৃষকরা জানান, আত্রাই নদীর এ বালুমহালের ইজারা নেন মালেকা পারভীন। তার কাছ থেকে হাতুড় ইউনিয়নের দেওয়ানপুর গ্রামের সুলতানপুর মৌজার বালমহালের সাব-ইজারা নেন আবুল কালাম আজাদ বাবু ও আফজাল হোসেন এবং নূরপুর মৌজার বালুমহালের সাব-ইজারা নেন জলিল হোসেন ও জাহাঙ্গীর আলম। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বিএনপির এ দু’পক্ষের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে রূপ নেয়। 

অভিযোগ জলিল ও জাহাঙ্গীরকে বালু উত্তোলনে বাধাগ্রস্ত করতে আবুল কালাম আজাদ বাবু সরকারি রাস্তার কালভার্ট, ব্রিজ ভাঙচুর ও একাধিক স্থানে খনন করে রাস্তা নষ্ট করেছে। তাদের দ্বন্দ্বে ভোগান্তিতে পড়েছে ৫টি গ্রামের অন্তত ১০ হাজার কৃষক। ফসলের মাঠে যেতে না পেরে ফসলের পরিচর্যা ও কৃষি পণ্য আনা নেওয়ায় করতে পারছেন না তারা। 
 

দেওয়ানপুর গ্রামের কৃষক আলম হোসেন জানান, রাস্তা নষ্ট হওয়ায় তার উৎপাদিত কলা মাঠ থেকে আনতে পারছেন না। ফলে তার কলা মাঠেই পাকতে শুরু করেছে। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান না হলে কলা নষ্টের আশংকা করছেন তিনি।

জামেলা বেগম ও হাফিজুর ইসলাম জানান, রাস্তার কালভার্ট ভেঙে ফেলায় গবাদী পশু মাঠে নিয়ে যেতে পারছেন না তারা। ফসলের পরিচর্যার জন্য মাঠেও যেতে পারছেন না তারা। এতে ফসল উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে তাদের।   

বালুমহাল সাব ইজারাদার জলিল হোসেন ও জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তাদের দুপক্ষের বালু উত্তোলনের স্থান পাশাপশি হওয়ায় দীর্ঘদিন থেকে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এর জেরে গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে আবুল কালাম আজাদ বাবু ও তার বাহিনী আমাদের বালু উত্তোলনের মেশিন ভাঙচুর, লুটপাট ও রাস্তা নষ্ট করে দিয়েছে। এতে আমরা লোকসানে পড়েছি। এর দ্রুত সমাধানসহ দোষিদের বিচার চান তারা।  

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আবুল কালাম আজাদ বাবু। তিনি বলছেন নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করে তাকে দোষি করা হচ্ছে।

মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে কিছুই জানেন না তিনি। তবে সরকারি রাস্তা নষ্টের প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান এই কর্মকর্তা।

সাজু/টিপু

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়