ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

‘অটোরিকশা’ এখন চন্দ্রা-নবীনগর সড়কের একমাত্র বাহন 

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২৬, ১৯ নভেম্বর ২০২৪  
‘অটোরিকশা’ এখন চন্দ্রা-নবীনগর সড়কের একমাত্র বাহন 

শ্রমিকদের টানা অবরোধে চন্দ্রা-নবীনগর সড়কে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে এই সড়কে এখন একমাত্র বাহন অটোরিকশা। যাত্রীরা চন্দ্রা হতে নবীনগর যাতায়াত করছেন এই ব্যাটারিচালিত আটোরিকশায়। 

গত শনিবার থেকে টানা ৪ দিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক বন্ধ রয়েছে। সড়কে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সেনাবাহিনীর অবস্থান থাকলেও অটোরিকশা ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন চলছে না। 

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, গাজীপুরের বাস্ততম চন্দ্রা এলাকা পুরোপুরি ফাঁকা। বেশ কিছু পরিবহন বিকল্প রাস্তায় ধামরাই হয়ে চলাচল করছে। তবে জিরানি, বাইপাইল, ইপিজেড,  নবীনগর ও সাভারগামী সাধারণ মানুষ চন্দ্রা থেকে অটোরিকশায় করে ভেঙে ভেঙে চলাচল করছে। তারা অটোরিকশায় করে বিয়ানীবাজার আগ পর্যন্ত যাচ্ছে, কিছু রাস্তা হেঁটে আবার অটোরিকশায় করে নবীনগরের দিকে যাচ্ছে। রাস্তার দুই পাশে ও ডিভাইডারের মাঝে বিভিন্ন কারখানার শ্রমিক দেখা গেছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন পয়েন্টে সেনাবাহিনীকে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। 

অটোরিকশা চললেও কিছু কিছু জায়গায় হঠাৎ করেই লাঠিসোটা হাতে কিছু যুবক তাদেরকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন। 

এদিকে আজ (মঙ্গলবার) বেক্সিমকো ডরিনসহ আরও কয়েকটি কারখানা শ্রমিক সড়কে ও আশপাশের অবস্থান নিয়েছেন। ফলে যানচলাচল বন্ধের পাশাপাশি থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। এদের সঙ্গে কিছু উৎসুক মানুষকেও লাঠিসোটা হাতে দেখা যায়।   

ডরিন কারখানার শ্রমিক আহমদ সাত্তার বলেন, ‘আমাদের বেতন বকেয়া নেই। তবে আমাদের কারখানা বন্ধ রাখায় সড়ক অবরোধ করে রেখেছি। এছাড়াও বেক্সিমকোর পাশাপাশি আইরিন কারখানার শ্রমিকরাও সড়কে এসেছে।’ 

অটোরিকশাচালক কাউসার হোসেন বলেন, ‘৪ দিন ধরে এই সড়কে অটোরিকশার চাপ বেড়েছে। এছাড়া যাত্রীদের আর কোন উপায় নেই। তুলনামূলকভাবে আমাদের আয়ও বেড়েছে। চন্দ্রা থেকে জিরানি পর্যন্ত ২০ টাকা করে ভাড়া নিচ্ছি।’ 

একটি পোশাক তৈরি কারখানার শ্রমিক মেজবাহ বলেন, ‘আমি যে কারখানায় কাজ করি তা আসলে ও কাশিমপুরের মাঝখানে। কবিরপুর থেকে প্রতিদিন যাই এখন বাস না থাকায় অটো রিকশায় করে যাচ্ছি।’ 

ডরিন কারখানার শ্রমিক মোহাম্মদ আলহাজ্ব বলেন, ‘আশপাশের অনেক কারখানা বন্ধ দিয়ে দিয়েছে। আমাদের কারখানা অনেকদিন হলো বন্ধ, বেতন বকেয়া নেই। কারখানা খুলে দিলেই আমরা খুশি। কারখানা খুলে না দেওয়ায় আমরা আসলে সড়কে অবস্থান নিয়েছি। সড়কে অনেক শ্রমিক যে দেখছেন সবাই আন্দোলন করছে না। কারখানা বন্ধ এজন্য দেখতে এসেছে।’ 

ঢাকা/রেজাউল/টিপু 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়