সুবর্ণচরের নববধূর মৃত্যু, সাবেক প্রেমিক ও স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা

ফাহিমা আক্তার পপি নামে নোয়াখালীর সুবর্ণচরের এক নববধূ ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় নিহত নববধূর চাচা বাদী হয়ে সাবেক প্রেমিক ও স্বামীকে অভিযুক্ত করে মামলা করেছেন। 

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে, গত বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের নিজ বাড়ির পাশে এক আত্মীয় বাড়িতে তিনি গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।  

পপি উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মো.সেলিমের মেয়ে। সে সৈকত সরকারি কলেজে ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া বলেন, এ ঘটনায় নিহত নববধূর চাচা বাদী হয়ে সাবেক প্রেমিক রিয়াদ, স্বামী মাহমুদ, তার বাবা ও বোনের নাম উল্লেখ করে আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে মামলা করেছেন। পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।  

পুলিশ জানায়, পপি স্থানীয় সৈকত সরকারি কলেজের ছাত্রী ছিলো। কলেজে থাকাকালীন মহিন ইসলাম রিয়াদ নামে এক ছেলের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পারিবারিকভাবে গত ১৮ নভেম্বর আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ নামে এক ছেলের সাথে পপির বিয়ে হয়। বিয়ের পর পপির সাবেক প্রেমিক রিয়াদ পপির স্বামী মাহমুদের মোবাইলে তাদের অন্তরঙ্গ কিছু ছবি ও ভিডিও প্রেরণ করে। এ নিয়ে একপর্যায়ে মাহমুদ পপির সাথে সংসার করবেনা বলে জানিয়ে দেয়। এ কারণে পপি আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তাৎক্ষণিক পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে গেলে শুক্রবার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।