ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ৩০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

পরকীয়া প্রেমিকসহ দেবরকে হত্যা, দুই ভাবি গ্রেপ্তার

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১৯, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪  
পরকীয়া প্রেমিকসহ দেবরকে হত্যা, দুই ভাবি গ্রেপ্তার

হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায় বসতঘরে ঢুকে কিশোর মোস্তাকিন মিয়াকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় দুই ভাবিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নিহত মোস্তাকিনের বড় ভাই উপজেলার আদিত্যপুর গ্রামের ফজলু মিয়ার স্ত্রী রোজিনা আক্তার (২৯) ও সজলু মিয়ার স্ত্রী তাসলিমা আক্তার (২৫)। 

রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকালে এসব তথ্য দেন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তরিকুল ইসলাম। এর আগে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে আসামিদের আদালতে সোপর্দ করেন, পরে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

পুলিশ জানায়, রোজিনা ও তাসলিমার সহযোগিতায় তাদের পরকীয়া প্রেমিক রায়হান উদ্দিন মোস্তাকিনকে গলাকেটে হত্যা করেন বলে জানিয়ে শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে রাতেই দুই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জবানবন্দি দেওয়া আসামি রায়হান নবীগঞ্জের পুরানগাঁও গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে ও মোস্তাকিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি।
  
২৪ নভেম্বর রাত সাড়ে ১২টায় আদিত্যপুর গ্রামের জাফর মিয়ার ছেলে নির্মাণ শ্রমিক মোস্তাকিন মিয়াকে (১৭) গলাকেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ২৫ নভেম্বর তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় দুই আসামির নামে থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের মা ফুলবানু। পরে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) র‌্যাব হবিগঞ্জ ও সিলেট ক্যাম্পের সদস্যরা সিলেটের গোপালাগঞ্জ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে রায়হানকে গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সোয়া ৫টা পর্যন্ত  হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাহেদুল আলম ১৬৪ ধারায় তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। 

স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তরিকুল ইসলাম জানান, রোজিনা ও তাসলিমার সঙ্গে রায়হানের পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে। ২৪ নভেম্বর রাতে রায়হান প্রথমে তাসলিমা ও পরে রোজিনার ঘরে গিয়ে সময় কাটান। দেবর মোস্তাকিন তা দেখে ফেলায় তিনজন মিলে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ওই রাতেই বসতঘরে ঢুকে দুই ভাবি মোস্তাকিনকে চেপে ধরে রাখেন এবং রায়হান ছুরি দিয়ে তার গলাকেটে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এরপর দুই ভাবি চিৎকার করে মানুষ জড়ো করেন।

ঢাকা/মামুন/ইমন

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়