ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

যথাযোগ্য মর্যাদায় কুমিল্লা মুক্ত দিবস পালিত

কুমিল্লা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৪২, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪  
যথাযোগ্য মর্যাদায় কুমিল্লা মুক্ত দিবস পালিত

কুমিল্লা নগরীর টাউন হল মাঠ থেকে জেলা প্রশাসক ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের যৌথ উদ্যোগে শোভাযাত্রা

যথাযোগ্য মর্যাদায় কুমিল্লায় হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। দিনভর দিবসটি স্মরণ করেন জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা, নতুন প্রজন্ম ও বিভিন্ন সংগঠক ও রাজনৈতিক দল।

রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকালে কুমিল্লা নগরীর টাউন হল মাঠ থেকে জেলা প্রশাসক ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের যৌথ উদ্যোগে শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপির ত্রাণ ও পূর্ণবাসন সম্পাদক হাজী আমিনুল ইসলাম ইয়াছিন।

শোভাযাত্রাটি কুমিল্লার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদর্শন করে টাউন হলের মাঠে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ হয়। এ সময় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিজয় র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আমিনুর কায়সার ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার সফিউল আহমেদ বাবুল উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপি (কুমিল্লা বিভাগ) সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাজী জসিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক    উবায়দুল বারী আবু, মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু, বাংলাদেশ জামাত ইসলামের  দক্ষিণ জেলা আমীর অ্যাডভোকেট শাহজাহান খানসহ প্রমুখ।
  
ইতিহাস বলছে, ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে ভারতীয় মিত্রবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধা গেরিলারা ৩ দিক থেকে কুমিল্লা বিমানবন্দরে পাক বাহিনীর ২২ বেলুচ রেজিমেন্টের প্রধান ঘাঁটিতে আক্রমণ শুরু করেন।

মিত্রবাহিনীর ১১ গুর্খা রেজিমেন্টের লেফটেন্যান্ট কর্নেল আর কে মজুমদারের নেতৃত্বে কুমিল্লা বিমানবন্দরের তিন দিক থেকে আক্রমণ পরিচালানা করেন।

মুক্তিবাহিনীর গেরিলাদের মরণপণ আক্রমণে পাকিস্তানি দখলদার সেনারা তাদের পরিণতি বুঝতে পারে। শেষ রাতে পাকিস্তানি আর্মি তাদের প্রতিরোধ পরিখাগুলো দ্রুত পরিত্যাগ করে ১১ কিলোমিটার দূরে ময়নামতি সেনানিবাসে আত্মগোপন করে।

ফলে ভোরে সূর্যের আলো না ফোটার আগেই থেমে যায় বৃষ্টির মতো গোলাবর্ষণের শব্দ। এ সময় এয়ারপোর্ট সংলগ্ন গ্রাম নেউরা, রাজাপাড়া, ঢুলিপাড়া লক্ষ্মীপুর, চৌয়ারা এলাকার বাসিন্দারা পাকসেনাদের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।

ঢাকা/রুবেল/সনি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়