ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৮ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

মেলায় সাজানো বিশালাকৃতির বাঘাইড়, চলছে বিক্রিও 

বগুড়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৫৩, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫  
মেলায় সাজানো বিশালাকৃতির বাঘাইড়, চলছে বিক্রিও 

পোড়াদহ মাছের মেলায় সাজানো বাঘাইড় মাছ

চার বছর পর এবার বগুড়ার পোড়াদহ মাছের মেলায় প্রকাশ্যে মহাবিপন্ন প্রজাতির বাঘাইড় মাছ আস্ত এবং কেটে বিক্রি করা হয়েছে।

চারশ’ বছরের পুরনো মেলার মূল আকর্ষণ বাঘাইড় মাছ। তাই পাল্লা দিয়ে প্রতি বছর মাছ ব্যবসায়ীরা মেলায় দুই মণ, আড়াই মণ ওজনের বাঘাইড় মাছ উঠাতেন।  তবে বন্যপ্রাণি অপরাধ দমন ইউনিট বাঘাইড় মাছকে মহাবিপন্ন ঘোষণা করায় গত তিন বছর এই মাছ এভাবে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। এবার মেলায় অন্তত ৫টি দোকানে বাঘাইড় মাছ বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখতে দেখা গেছে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই মাছ বিক্রি বন্ধে প্রশাসনকে পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

আরো পড়ুন:

মেলায় ৬৫টি বাঘাইড় মাছ নিয়ে এসেছেন জমির উদ্দিন। বাঘাইড় ছাড়াও তিনি তার দোকানে উঠিয়েছেন আইড়, বোয়াল, চিতল, কাতল মাছ। তিনি জানান, ২০ বছর ধরে তিনি এই মেলায় মাছ নিয়ে আসেন। তিনি যে মাছগুলো নিয়ে এসেছেন, সবগুলোয় যমুনা নদীর মাছ। সব মিলিয়ে তিনি  পাঁচ লাখ টাকার মাছ মেলায় নিয়ে এসেছেন। তবে এবার মেলায় মাছ কম।

তিনি জানান, ঝুঁকি নিয়ে বাঘাইড় মাছ মেলায় এনেছেন। বিষয়টি তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, তিনি ধারণা করেছিলেন বাঘাইড় মাছ মেলায় বিক্রি করতে দেবেন কিন্তু নিয়ে আসার পর শুনছেন, বিক্রি করতে দেবেন না। তাই আপাতত দুটি মাছ উঠিয়েছেন। ৬৫টি বাঘাইড় মাছের মধ্যে সবচেয়ে বড়টির ওজন ৩০ কেজি। সব চেয়ে ছোটটির ওজন ৫ কেজি। বেশির ভাগ বাঘাইড়ের ওজন ২০ কেজির কাছাকাছি। এই মাছগুলোর আকার ভেদে দাম ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি।

বাঘাইড় মাছ নিয়ে আসা আরেক ব্যবসায়ী লাল মিয়া বলেন, যমুনার জেলেদের কাছ থেকে তিনি তিনটি বাঘাইড় মাছ নিয়ে আসেন। এর মধ্যে একটি ৩৫ কেজি ওজনের। সেটি বিক্রি করে ফেলেছেন। আরও দুটি আছে। দুটিই টাটকা মাছ। একটি তো এখনো জীবিত আছে। এটি ২০ কেজি ওজনের। যেটি বিক্রি করেছেন, সেটি ১৬০০ টাকা কেজি দরে ৫৬ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। বাকি দুটিরও দরদাম চলছে। ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি ধরে ছেড়ে দেবেন।

প্রথা অনুযায়ী মাঘের শেষ বুধবারে ইছামতী নদীর পাড়ে এ মেলা বসে। মেলাটি সন্যাস মেলা, মাছের মেলা নামেও পরিচিত। তবে হাল আমলে এসে মেলাটি জামাই মেলা নামে বেশি পরিচিত। যে কারণে প্রথা অনুযায়ী শ্বশুরবাড়িতে সবচেয়ে বড় মাছ কিনে নিয়ে যেতে জামাইদের নীরব প্রতিযোগিতা চলে। 

মেলায় মহাবিপন্ন বাঘাইড় মাছ বিক্রি এবার শিথিল করা হয়েছে কি-না জানতে চাইলে গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহমান বলেন, ‘‘আমাদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ তো কাজ করছে। আর বিক্রি শিথিল বা কঠিন, এটা আসলে কার এখতিয়ার বা কে করবে এটা আমি জানি না। তবে আমি আইন মোতাবেক কাজ করছি।’’

ঢাকা/এনাম/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়