ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৩ মে ২০২৫ ||  বৈশাখ ৩০ ১৪৩২

জামিনে এসেই মামলা তুলে নিতে হুমকি ইউপি সদস্যের

রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৫৭, ১৯ এপ্রিল ২০২৫  
জামিনে এসেই মামলা তুলে নিতে হুমকি ইউপি সদস্যের

তোজাম্মেল হক

জামিনে মুক্ত হওয়ার পরই হামলা ও মারধরের মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত তোজাম্মেল হক রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মোল্লা ফিরোজ (২৩) রাজশাহী আদালতে ১০৭ ধারায় মামলা করেছেন। গত ৭ এপ্রিল গোদাগাড়ী থানার আমলী আদালতে মামলাটি করেন তিনি। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।

মামলার বাদী ফিরোজ গোদাগাড়ীর উজানপাড়া গ্রামের মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- উজানপাড়া গ্রামের মো. মিলন (৩০), আবু তাহের (২২), মো. রাসেল (৩০), মো. নয়ন (২৮), একরামুল হক (৫০), মো. জুয়েল (৩২), মো. লিটন (৪৫), মো. আলামিন (৩৫), মো. আহাদ (২২), লতিফুর রহমান (৫০) ও তরিকুল ইসলাম টুটুল (৪৫)।

ফিরোজের আইনজীবী জালাল উদ্দীন জানান, আদালত আসামিদের রবিবার (২০ এপ্রিল) স্বশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

আসামিদের সঙ্গে মোল্লা ফিরোজের পরিবারের জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এর জেরে গত ২ এপ্রিল দুপুর পৌনে ১টার দিকে ফিরোজকে তার বাড়ির সামনে পেয়ে আসামিরা ঘিরে ধরেন এবং তাকে বকাবকি করতে থাকেন। এতে বাধা দিলে ফিরোজকে মারধর করা হয়। তার চিৎকারে মামা নাসির উদ্দীন (৪৫) ছুটে গেলে তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় ফিরোজ ইউপি সদস্যসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। 

ফিরোজ জানান, ‍মামলার পর ৬ এপ্রিল আসামিরা জামিনে মুক্ত হন। জামিনে বেরিয়েই তারা বিভিন্ন মাধ্যমে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিতে শুরু করেন। মামলা না তুললে মাঠের ফসল নষ্ট ও পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে তিনি আদালতে আবারো মামলা করেন। তারপরও হুমকি বন্ধ হয়নি বলে অভিযোগ তার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য তোজাম্মেল হক বলেন, “দুই পক্ষই আমার আত্মীয়। তাদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ আছে। ইউপি সদস্য হিসেবে আমি মীমাংসার চেষ্টা করেছি। সে কারণে আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। জামিন পেলেও আমি কাউকে হুমকি দেইনি। আমরা সমন পেয়েছি, রবিবার আদালতে গিয়ে সব বলব।”

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়