ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৮ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

গোপালগঞ্জে দখল-চাঁদাবাজীসহ বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১৭, ৪ মে ২০২৫   আপডেট: ১৫:২১, ৪ মে ২০২৫
গোপালগঞ্জে দখল-চাঁদাবাজীসহ বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ

উত্তর ধানকোড়া গ্রামের বটতলায় ভুক্তভোগীদের সংবাদ সম্মেলন

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচীব ইমদাদুল হক ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, হামলা, লুটপাট ও সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার (৪ মে) দুপুরে উত্তর ধানকোড়া গ্রামের বটতলায় ভুক্তভোগীরা এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ আনেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. নুরুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “ওই গ্রামের সাবেক ব্যাংক কর্মচারী বাচ্চু মিয়া ১৬ বছর আগে ভাগ্নি জামাই ও প্রতিবেশি ইবাদ শেখের কাছ থেকে একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু তাদের বসবাস করার মতো জায়গা-জমি না থাকায় মানবিক কারণে ওই জমিতে বসবাস করতে দেন। 

‘সম্প্রতি জমি বুঝিয়ে ও ছেড়ে দিতে বললে উল্টো টাকা দাবী করে হত্যার হুমকিসহ নানা ভয়ভীতি দেখান। তিনি দিতে অস্বীকার করায় গত ২৯ এপ্রিল রাতইল ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব এমদাদুল হকের নেতৃত্বে তার উপর হামলা চালানো হয়।”

তিনি আরো বলেন, “গত ২৯ এপ্রিল উত্তর ধানকোড়া গ্রামের মামুন সরদারকে সালিশ থেকে বাড়ি ফেরার পথে লোকজন নিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আখের শেখের ঘের দখল করে মাছ লুটের চেষ্টা করে। মোস্তফা শেখের সাথে তার আপন ভাইয়ের বিরোধ চলছিল। বিএনপি নেতা এমদাদুল হক অপর ভাইয়ের পক্ষ হয়ে লোকজন নিয়ে তাকে মারধর করে এবং মুখের দাড়ি টেনে ছিড়ে ফেলে ওই বিএনপি নেতা।”

এছাড়া পোস্টার ছেড়ার অভিযোগ এনে বিভিন্ন জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেন এবং কাশিয়ানী থানার ততকালীন ওসি শফিউদ্দিনের যোগসাজসে এলকার লোকজনকে হত্যা মামলার আসামি করার হুমকী দেয়াসহ হয়রানী করে। এছাড়াও ওই বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে ইতনা খেয়াঘাট দখল ও পরানপুর পশুর হাট থেকে চাঁদাবাজীরও অভিযোগ তোলেন ভুক্তভোগীরা।

এছাড়াও তিনি আরও বলেন, “বিল্লাল শেখ নামে এক ব্যক্তি ইমদাদুল হকের কাছে পাটের পাওনা টাকা চাওয়ায় তাকে বেধড়ক মারপিট করে। পাটের পাওনা টাকা চাওয়ায় পার্শ্ববর্তী পারকরফা গ্রামের সোহান শেখ, পাথরঘাটা গ্রামের খানজাহানকেও বেধড়ক মারপিট করে আহত করে এবং তাদেরকে হত্যা মামলার ভয় দেখায়।

বিএনপি নেতা এমদাদুল হক ও তার বাহিনীর চাঁদাবাজি, হামলা, লুটপাট ও নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। দ্রুত তদন্ত করে ওই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

এসময় সম্মেলনে ভুক্তভোগী মো. মামুন সরদার, নুরুল ইসলাম, মোস্তাফা শেখ, মো. আমির আলী খানসহ এলাকাবাসী এবং বিভিন্ন বিভিন্ন ইলেকট্রানিক্স-প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে অভিযুক্ত রাতইল ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচীব এমদাদুল হক মুঠোফোনে বলেন, ‘‘এ বিষয় আমার কোন মন্তব্য নেই।”

ঢাকা/বাদল/এস

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়