অপহরণের শিকার সেই পল্লী চিকিৎসক উদ্ধার
গাইবান্ধা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
গত শুক্রবার বিকেলে তরিকুল ইসলামকে অপহরণের সময় সেখানে মাথায় হেলমেট ও পুলিশের পোশাক পরিহিত এক ব্যক্তিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সোমবার সকালে তাকে উদ্ধার করেছে র্যাব ও পুলিশ
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর থেকে অপহরণ হওয়া তরিকুল ইসলাম (৩৫) নামে পল্লী চিকিৎসককে বগুড়া থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব ও পুলিশ।
সোমবার (৫ মে) সকাল ১১টার দিকে বগুড়ার নিশিন্দারা এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা র্যাব-১৩ কোম্পানির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিস উদ্দিন।
আরো পড়ুন: পুলিশের উপস্থিতিতে পল্লি চিকিৎসককে অপহরণের অভিযোগ, ৩ দিনেও মেলেনি খোঁজ
এদিকে, অপহরণের ঘটনায় গত শনিবার রাতে পল্লী চিকিৎসকের ছোট ভাই হিরু মিয়া সাদুল্লাপুর থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। অভিযোগের কপি গাইবান্ধা র্যাব-১৩ ক্যাম্পেও দাখিল করেন তিনি।
মামলার বাদী হিরু মিয়া বলেন, “বগুড়ার নিশিন্দারা এলাকার পুলিশ ব্যাটেলিয়ন স্কুলের পাশের একটি বাড়ি থেকে ভাইকে উদ্ধার করেছে র্যাব ও পুলিশ। কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। আমরা বগুড়া থেকে গাইবান্ধা যাচ্ছি।”
গত শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সাদুল্লাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের হাতি চামটার ব্রিজ এলাকা থেকে তরিকুল ইসলামকে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা। সে সময় সেখানে মাথায় হেলমেট ও পুলিশের পোশাক পরিহিত এক ব্যক্তিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ওই ঘটনার ২০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল।
ভুক্তভোগী তরিকুল ইসলাম সাদুল্লাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর কুটিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা
সাদুল্লাপুর থানার ওসি তাজউদ্দিন খন্দকার সোমবার সন্ধ্যায় বলেন, “র্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে পল্লী চিকিৎসককে বগুড়া সদর এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে। বগুড়া থেকে তাকে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে।” কোথা থেকে এবং কীভাবে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি তিনি।
আসামিদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে ওসি বলেন, “আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
রবিবার (৪ মে) রাতে সাদুল্লাপুর থানার ওসি তাজউদ্দিন খন্দকার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “অপহরণের সময় পুলিশের পোশাক পরিহিত এক ব্যক্তির উপস্থিতির কথা শুনেছি। কিন্তু, স্পষ্ট নয়।”
ঢাকা/মাসুম/মাসুদ