ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৯ জুন ২০২৫ ||  আষাঢ় ৫ ১৪৩২

সাম্য হত্যা এবং তথ্য উপদেষ্টাকে বোতল মারা চক্রান্তের অংশ : এ্যানি

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৫৯, ১৬ মে ২০২৫   আপডেট: ১৮:০৩, ১৬ মে ২০২৫
সাম্য হত্যা এবং তথ্য উপদেষ্টাকে বোতল মারা চক্রান্তের অংশ : এ্যানি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যকে হত্যা এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টাকে (মাহফুজ আলম) পানির বোতল ছুঁড়ে মারা চক্রান্তের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। তিনি বলেন, ‘‘সাম্যের হত্যাকাণ্ড বিচ্ছিন্নভাবে দেখার সুযোগ নেই। কেউ কেউ এখন পরিবেশ ঘোলাটে করতে চায়।’’

শুক্রবার (১৬ মে) বেলা ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের ৩ নাম্বার ওয়ার্ড বিএনপির নেতা নির্বাচনের লক্ষ্যে তালহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

এ্যানি বলেন, ‘‘একজন উপদেষ্টাকে পানির বোতল মারা এটাও কম ষড়যন্ত্রের অংশ নয়। এক পক্ষকে যদি আরেক পক্ষের সঙ্গে লাগিয়ে দেওয়া যায়, একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি যদি সৃষ্টি করা যায়, তাহলে আমাদের টার্গেট, ভবিষ্যতের ভোট, যার জন্য আমাদের এত আন্দোলন-সংগ্রাম এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এটি একটি অদৃশ্য শক্তি। যা বারবার দেখা যাচ্ছিল না। কিন্তু এখন কিছুটা দৃশ্যমান হতে যাচ্ছে। বোঝা যাচ্ছে কারা এ প্রক্রিয়াটাকে বাধাগ্রস্ত করছে।’’

তিন দফা দাবি আদায়ে গত বুধবার দুপুর থেকে কাকরাইল মসজিদ মোড়ে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের বুঝিয়ে ফেরত পাঠাতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় একটি পানির বোতল তার মাথায় আঘাত করে। 

অন্যদিকে শাহরিয়ার আলম সাম্য গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুবৃত্তের ছুরিকাঘাতে আহত হন। বন্ধুরা সাম্যকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সাম্যকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, “যেখানে ১৭ বছর লুটপাট হয়েছে, অনিয়ম-অত্যাচার হয়েছে। একটি নির্বাচিত সরকার এসেও সব সমস্যা সমাধান করতে পারবে না। এখন অন্তর্বর্তী সরকার এ অল্প কয়দিনের মধ্যে সব দাবি মানতে পারবে না। অনেকে দাবি তুলবে। এ আলোচনাগুলো করতে হবে, সমাধানেরও চেষ্টা বের করতে হবে।”

তিনি বলেন, “কিন্তু সেখানে পুলিশ যেভাবে ছাত্রদের পিটিয়েছে, এটাও কিন্তু ঠিক করেনি। এর ভেতরে আবার ষড়যন্ত্র ঢুকছে। ষড়যন্ত্রটা হচ্ছে, পরিবেশটাকে উত্তপ্ত করার জন্য, ভোটের পরিবেশ বাধাগ্রস্ত করার জন্য, স্বাভাবিক পরিবেশকে অস্বাভাবিক করার জন্য। একটি চক্র অর্থকরি নিয়ে বসে আছে। তারা দূর থেকে এ কাজগুলো করাচ্ছে।”

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট হাসিবুর রহমান, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, জেলা বিএনপির সদস্য এডভোকেট হাফিজুর রহমান ও সদর (পূর্ব) উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাঈন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ প্রমুখ।

লিটন//


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়