ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৪ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বালু ও পাথর উত্তোলনের মূল হোতাদের ধরতে হবে: রিজওয়ানা

শেরপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৪৬, ২৬ মে ২০২৫  
বালু ও পাথর উত্তোলনের মূল হোতাদের ধরতে হবে: রিজওয়ানা

শেরপুরের নালিতাবাড়ীর দাওধারা এলাকায় সোমবার সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, “বালু মহাল অভিযানে শুধু শ্রমিক ধরা হয়। শ্রমিক ধরে নিয়ে গেলে তো কোনো লাভ হবে না। শ্রমিকের পেছনে কে বা কারা কাজ করছে পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনকে তা জানতে হবে।”

তিনি বলেন, “কোর্টে লিখে দিলে হবে না অপরাধী পায়নি। এটা গ্রহনযোগ্য রিপোর্ট না। এমন রিপোর্ট সরকার আর গ্রহণ করবে না। বলতে হবে, বনবিভাগে বালু উত্তোলন ও পাথর উত্তোলনের সঙ্গে কারা জড়িত। নাম মুখে আনতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এমন নির্দেশনা জেলা প্রশাসকদের দেওয়া হয়েছে।” 

আরো পড়ুন:

আরো পড়ুন: হাতি ও মানুষের সহবস্থান নিশ্চিত করা হবে: রিজওয়ানা

সোমবার (২৬ মে) সকালে শেরপুরের নালিতাবাড়ীর দাওধারা এলাকায় সম্ভাব্য পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

বালু ও পাথর উত্তোলনকারীদের মূল হোতাদের কেন ধরা হচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, “বাংলাদেশের ৮ বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক ও ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারকে নিয়ে সপ্তাহ দুয়েক আগে বসেছিলাম। তাদের ১০টি নির্দেশনা দিয়েছি। বালু উত্তোলন যদি অনিয়ন্ত্রিত হয় তাহলে বন্ধ করে দিতে হবে।” 

তিনি বলেন, “অতীতে কখনোই যারা মূলহোতা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমরা উল্টো দেখেছি, বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে দেশের একটি জেলার জেলা প্রশাসক পর্যন্ত বদলি হয়ে গেছেন।”

আরো পড়ুন: শেরপুরে উপদেষ্টার গাড়িবহরে থাকা সাংবাদিকদের ওপর হামলা, আহত ৬

উপদেষ্টা বলেন, “আমি গতকাল শেরপুরের জেলা প্রশাসককে বলেছি, আপনি আসল হোতাকে ধরুন। রিপোর্টে কখনো একই কথা লিখবেন না যে কাউকে পাওয়া যায়নি। আপনি তাকে পাবেন না মানে কী? তাহলে পুলিশের কাজ কী? আপনাদের কাজই হলো অপরাধীকে খুঁজে বের করা।”

পরে উপদেষ্টা নালিতাবাড়ীর মধুটিলা রেঞ্জের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাগান প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি মধুটিলা ইকোপার্কে হাতির আক্রমণে নিহত দুই ব্যক্তির পরিবারের মধ্যে ৩ লাখ টাকা করে ৬ লাখ টাকার চেক এবং ক্ষতিগ্রস্ত ১৫ পরিবারকে ৩ লাখ ২৭ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের সদস্যদের মধ্যে বাইনোকুলার, টর্চ লাইট, হ্যান্ডমাইক, হুইসেলসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়।

উল্লেখ্য, শেরপুরের নালিতাবাড়ীর দাওধারা এলাকায় বনের ভেতর পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগের ঘটনায় মুখোমুখি অবস্থানে স্থানীয় প্রশাসন ও বন বিভাগ। বনের ভেতরে দাওধারায় ২২৩ একর জায়গা রয়েছে ১ নম্বর খতিয়ানের। সম্প্রতি বিস্তীর্ণ এই জায়গাজুড়ে পর্যটনকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয় নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রশাসন। কাজ শুরুর পর বন্য হাতি সংরক্ষণ, সামাজিক বনায়ন বৃদ্ধি ও বনাঞ্চল টিকিয়ে রাখার সুপারিশে পর্যটনকেন্দ্র স্থাপনে আপত্তি জানায় স্থানীয় বন বিভাগ।

ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়