হাতি ও মানুষের সহবস্থান নিশ্চিত করা হবে: রিজওয়ানা
শেরপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
শেরপুরের নালিতাবাড়ীর দাওধারা এলাকায় সোমবার সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, “আমরা কী করলে হাতি আর লোকালয়ে আসবে না সেটা চিন্তা করতে হবে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে ১২টি হাতি মারা গেছে। এটা কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয়।”
তিনি বলেন, “এই সমস্যাটা বহুদিনের। হাতি অবহেলিত হতে হতে চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। যার ফলটা এখন আমরা দেখছি। হাতিকে সৃষ্টির সেরা জীব বলা হয়নি, মানুষকে বলা হয়েছে। মানুষ এখন সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে কী করলে হাতি আর লোকালয়ে আসবে না, কী করা যাবে আর কী করা যাবে না তা আমাদের ভাবতে হবে। সেটা বুঝবার জন্যই আমি এসেছি।”
আরো পড়ুন: শেরপুরে উপদেষ্টার গাড়িবহরে থাকা সাংবাদিকদের ওপর হামলা, আহত ৬
সোমবার (২৬ মে) সকালে শেরপুরের নালিতাবাড়ীর দাওধারা এলাকায় সম্ভাব্য পর্যটন কেন্দ্র দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “হাতির জন্য অনুপযোগী যেসব গাছ যা আছে তা কাটতে হবে। হাতির বসবাস উপযোগী বনায়ন করতে হবে। একাশি ও আকাশমণি গাছ কাটার উপযোগী হোক না হোক কেটে ফেলতে হবে। ইতোমধ্যে বনবিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তর এই দুই ধরনের গাছ লাগানো নিষিদ্ধ করেছে। হাতি মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসন করতে হলে তাকে হাঁটার যায়গা ও খাবার দিতে হবে।”
তিনি বলেন, “হাতি এবং মানুষের সহাবস্থানই সমস্যার সমাধান। কী করে সমস্যা সমাধান করা যায় সে জন্যই আজ আমরা এখানে এসেছি। এটা কোনভাবেই কাম্য নয় যে, মানুষ মারা যাবে হাতি মারা যাবে।”
বনের জমি দখল করে বাড়িঘর তৈরির বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, “কারো যদি আশ্রয় নেওয়ার কোথাও জায়গা না থাকে তাহলে সরকার তার জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের ব্যবস্থা করবে। তিনি তো বনবিভাগের জায়গায় এসে থাকতে পারেন না। এটা হতেও পারে না।”
ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ