ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ৩০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

খাগড়াছড়ি শহরের বর্জ্যে শতাধিক পরিবারে দুর্ভোগ 

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:২৫, ২৬ জুলাই ২০২৫  
খাগড়াছড়ি শহরের বর্জ্যে শতাধিক পরিবারে দুর্ভোগ 

খাগড়াছড়ি শহরের বর্জ্য বাঙ্গাল কাটি ছড়া দিয়ে ভেসে আসার কারণে গ্রামের বাসিন্দারা নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এভাবে বছরের পর বছর চললেও প্রতিকার মেলেনি। 

খাগড়াছড়ি পৌর শহরের বর্জ্য খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম-ঢাকা সড়কের আলুটিলা থেকে নামার পথে মহালছড়া এলাকায় ফেলা হয়। ২০ থেকে ২২ বছর ধরে সেখানে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। এই বর্জ্য বাঙ্গাল কাটি ছড়া দিয়ে ভেসে গিয়ে চেঙ্গী নদীতে পড়ে। বিশেষ করে বর্ষায় সময় বর্জ্য বাঙ্গাল কাটি ছড়া দিয়ে ভেসে যায়।

আরো পড়ুন:

সেই বর্জ্য ভেসে যাওয়ার কারণে বাঙ্গাল কাটি ছড়ার দুই পাশের গ্রামের বাসিন্দারা নানা সমস্যায় পড়ছে। বর্জ্য ভেসে যাওয়ার কারণে পানি দুষিত হচ্ছে এবং পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। দুষিত পানিতে কাপড় ধোয়া থেকে শুরু করে গোসল করতে হয় বাঙ্গাল কাটি গ্রামের শতাধিক পরিবারের সদস্যদের। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় পাথরের কারণে এখানে সবাই টিউওয়েল বসাতে পারে না। তাই বাধ্য হয়ে দুষিত পানিতে গৃহস্থলীর কাজে ব্যবহার করতে হয়।  

দুষিত পানি ব্যবহারের কারণে সেখানকার বাসিন্দাদের এলার্জি, কলেরা, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে ভুগতে হচ্ছে।

বাঙ্গাল কাটি গ্রামের বাসিন্দা অনুপম ত্রিপুরা ও নয়ন ত্রিপুরা বলেন, ‘‘খাগড়াছড়ি পৌরসভার বর্জ্য বাঙ্গাল কাটি ছড়া দিয়ে ভেসে আসার কারণে তারা ছড়াতে গোসল করা, কাপড় ধোয়া যায় না। অনেককে নিরূপায় হয়ে গোসল করতে হয়। তখন শরীরে ডায়রিয়া, কলেরা ও এলার্জিসহ বিভিন্ন রোগে ভুগতে হয়। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় এখানে টিউবওয়েল বসানো যায় না।’’ 

সেচ্ছাসেবী সংগঠন ভলানটিয়ার ফর বাংলাদেশ খাগড়াছড়ি শাখার জনসংযোগ কর্মকর্তা জাহেদ হোসেন বলেন, ‘‘পৌরসভার বর্জ্য ছড়া দিয়ে ভেসে আসার কারণে ২০ থেকে ২২ বছর ধরে বাঙ্গাল কাটি গ্রামের লোকেরা কষ্ট পাচ্ছে। ময়লা ফেলার স্থান অন্য জায়গা সরানো উচিত, যেখানে পরিবেশ ও মানুষের ক্ষতি হবে না।’’  

খাগড়াছড়ির পৌরসভার পৌর প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা বলেন, ‘‘আমরা চাচ্ছি, বর্জ্যের সুস্থ ব্যবস্থাপনা করতে কিন্তু উপযুক্ত স্থানের অভাবে বার বার ব্যর্থ হচ্ছি। কুমিল্লা টিলায় ডাম্পিং স্টেশন করা হয়েছে, সেটিও জনবহুল এলাকা হওয়ায় জনগণের বাধার কারণে সেখানেও বর্জ্য ফেলা যাচ্ছে না। তবে সুস্থ ব্যবস্থাপনা কীভাবে করা যায়, তা চেষ্টা করছি।’’  

তিনি আরো বলেন, ‘‘বাঙ্গাল কাটি গ্রামে আমি গিয়েছি। আমি দেখেছি, তাদের দুর্বিসহ জীবনযাপন। বর্জ্য ফেলার জন্য এমন জায়গা দেখছি, যেখানে পরিবেশ এবং মানুষের ক্ষতি হবে না।’’
 

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়