ঢাকা     মঙ্গলবার   ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৪ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

সিলেটে লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে রাতভর অভিযান 

সিলেট প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১৮, ১৪ আগস্ট ২০২৫   আপডেট: ১০:২৫, ১৪ আগস্ট ২০২৫
সিলেটে লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে রাতভর অভিযান 

উদ্ধার হওয়া পাথর নদীতে নেওয়া হচ্ছে ট্রলারের মাধ্যমে

সিলেটের ভোলাগঞ্জ থেকে লুট হওয়া বিপুল পরিমাণের পাথর উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী। বুধবার (১৩ আগস্ট) রাত ১২টার দিকে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে সড়কে পুলিশ ও সেনাবাহিনী চেকপোস্ট বসিয়ে ট্রাকে তল্লাশি চালিয়েছে।

এদিকে, ভোলাগঞ্জের প্রায় ১২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধারকৃত পাথর পুনরায় নদীতে রাখার কাজ শুরু হয়েছে।

আরো পড়ুন:

গত বছরের ৫ আগস্টের পর সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদীর তীরবর্তী সাদাপাথর এলাকা থেকে পাথর চুরি শুরু হয়। গত দুই সপ্তাহে কোটি কোটি টাকার পাথর লুটপাট হয়। সেই পাথর উদ্ধারে জেলা প্রশাসনের অভিযান জোরদার হয়েছে। 

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‍“আমরা প্রশাসনের সঙ্গে সম্পূর্ণ সমন্বয় রেখে অভিযান চালাচ্ছি। সাদাপাথর থেকে চুরি হওয়া পাথর উদ্ধার ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষাই আমাদের মূল লক্ষ্য। যারা এই এলাকায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

তিনি আরো বলেন, “মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানাধীন সিলেট ক্লাবের সম্মুখে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়েছে। এ ধরনের অপরাধ বন্ধ করতে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি।”

কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুল নাহার বলেন, “১২ হাজার ঘনফুট পাথর সাদাপাথরে ফেলা হচ্ছে। লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে অভিযান চলছে।”

এদিকে, সিলেট জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, চুরি হওয়া পাথর ফেরত না আসা পর্যন্ত অভিযান চলমান থাকবে। পাশাপাশি, চুরির সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

গত বুধবার রাতে সিলেট সার্কিট হাউজে সিলেট জেলা প্রশাসনের সমন্বয় সভায় পাথর লুটপাট ঠেকানো ও লুটের পাথর পুনঃস্থাপনে ৫ দফা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে- জাফলং ইসিএ এলাকা ও সাদাপাথর এলাকায় ২৪ ঘণ্টা যৌথ বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জে পুলিশের চেকপোস্টসহ যৌথ বাহিনী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। অবৈধ ক্রাশিং মেশিন বন্ধ ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নসহ অভিযান চলমান থাকবে। পাথর চুরির সঙ্গে জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় আনা হবে। চুরি হওয়া পাথর উদ্ধার করে পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে আনার কাজ করা হবে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ বলেন, “এই পদক্ষেপের মাধ্যমে পর্যটনকেন্দ্র ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করা হবে। পাশাপাশি অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/নূর/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়