ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৬ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

রাজশাহীতে সাবেক পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা  

রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৫৪, ২৬ আগস্ট ২০২৫  
রাজশাহীতে সাবেক পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা  

আড়ানী পৌরসভার সাবেক মেয়র মুক্তার আলী

সরকারকে না জানিয়ে ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য জ্বালানি খরচ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহীর আড়ানী পৌরসভার সাবেক মেয়র মুক্তার আলী বিরুদ্ধে। নিয়মবহির্ভূতভাবে পৌর তহবিল থেকে তেল খরচ বাবদ ১৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা নেওয়ায় মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া ভুয়া কর্মচারি নিয়োগ দেখিয়ে বেতন-ভাতা তুলে নেওয়ার অভিযোগে আরেকটি মামলা করা হয়েছে।

দুদকের সমন্বিত রাজশাহী জেলা কার্যালয়ে মামলা দুটি দায়ের করা হয়। মামলা দুটির বাদী হয়েছেন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমান। আসামি মুক্তার আলী আড়ানী পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। গত ১০ ফেব্রুয়ারি তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা রয়েছে। বর্তমানে তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।

আরো পড়ুন:

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন জানান, ভুয়া নিয়োগ দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে এবং তেলের নামে নিয়ম না মেনে টাকা নিয়ে মুক্তার আলী শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এ জন্য তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি আদালতকে অবহিত করা হয়েছে।

দুদকের মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আড়ানী পৌরসভায় সরকারি জীপ গাড়ি ও চালক নেই। তাই মেয়র থাকাকালে তিনি ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার ব্যবহার করতেন। সেই গাড়ির জন্য মুক্তার আলী ২০১৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন ৭ লিটার করে জ্বালানি তেলের খরচ নিয়েছেন পৌর তহবিল থেকে। মোট ১ হাজার ৮৬৫ দিনের জন্য ১৩ হাজার ৫৫ লিটার তেল খরচ নেওয়া হয়েছে। প্রতি লিটার তেলের খরচ ধরা হয়েছে ৯৬ টাকা ১০ পয়সা। এতে তিনি পেয়েছেন ১২ লাখ ৫৪ হাজার ৫৮৫ টাকা। এছাড়া তিনি ১ লাখ ৯৭ হাজার ৪১৫ টাকা অগ্রিম নিয়েছেন। তবে অগ্রিমের বিপরীতে ভাউচারও দাখিল করেননি বা সমন্বয় করেননি।

সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন বলেন, ‘‘পরিপত্র অনুযায়ী ব্যক্তিগত গাড়ি অফিসের কাজে ব্যবহার করতে চাইলে তা পৌর পরিষদ ও সরকারকে অবহিত করতে হবে। সেক্ষেত্রে তিনি প্রতিদিন ৭ লিটার তেল পাবেন। মুক্তার আলী গাড়ি ব্যবহার দেখিয়ে পৌর তহবিল থেকে ১৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা গ্রহণ করলেও পৌর পরিষদ কিংবা সরকারকে কিছু জানাননি। কোন লগ বইও লিপিবদ্ধ করেননি।’’

অপর মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, মুক্তার আলী ২০১৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মেয়াদে পরিচ্ছন্ন কর্মচারি হিসেবে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নুরুজ্জামান নাইম, শামীম আহাম্মেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, সঞ্জিব কুমার সাহা, আবু সাঈদকে নিয়োগ দেখানো হয়। তাদের প্রত্যেকের বেতন দেখানো হয় ৯ হাজার টাকা। বাস্তবে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তাদের বেতন-ভাতা দেখিয়ে ৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা তুলে নেন তৎকালীন মেয়র মুক্তার আলী।

ঢাকা/কেয়া/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়